এদিন মালদহে সায়ন্তন অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে বহু ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে। রাজ্যে ২২ লক্ষ নতুন ভোটারের নাম উঠেছে। এরমধ্যে পাঁচ লক্ষ রোহিঙ্গা রয়েছেন। এর বাইরেও আরও তিন থেকে চার লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে যে জেলাগুলিতে গত ২০১৯ লোকসভা ভোটের পর থেকে এপর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ভোটার বেড়েছে তার মধ্যে রয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কোচবিহার। এই পাঁচটি জেলাই সীমান্তবর্তী জেলা। ফলে বাস্তব পরিস্থিতি কেমন তা ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলছি বাংলাদেশ থেকে আসা ভোটারদের নাম বাদ দিতে হবে। বাইরে থেকে আসা সংখ্যালঘু মুসলিমদের জন্যই এরাজ্যে জনসংখ্যার শ্রেণীবিভাজনে তারতম্য ঘটেছে বলেও মত সায়ন্তনের।
advertisement
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় যেখানে প্রায় ১৪ শতাংশ মুসলিম ছিলেন, সেখানে এখন এরাজ্যে মুসলিম সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।বিজেপিতে নতুন যোগদান প্রসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, আমরা মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট- এর অপেক্ষা করছি। মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ আমাদের সঙ্গে আসবে। আদর্শ আচরণবিধি চালু হলে অন্যান্য দল থেকে বহু হেভিওয়েট নেতা পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন। দলে যোগ দিতে আগ্রহী অনেককেই নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হবার অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, আচরণবিধি চালু হয়ে গেলে পুলিশ আর তৃণমূলের হয়ে অসভ্যতা করতে পারবে না।এদিন বিকেলে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সেখানে বিভিন্ন বিধানসভায় দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়।