বুধবার কফিনবন্দি দেহ ফিরল মালদহের বাড়িতে। ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম। মৃতদেহ ফিরতেই ভিড় করেন কাতারে কাতারে মানুষ। শেষযাত্রায় সামিল কার্যত গোটা গ্রাম। পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি ছিলেন ইতেকাপ শেখ। এর আগে গ্রামে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করতেন। পরিবার-পরিজনদের দাবি, সেই কাজ করে বকেয়া টাকা মেলেনি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই অসুস্থ মা, প্রতিবন্ধী বাবা, নাবালক ভাই-এর অন্যের সংস্থান করতে মাসখানেক আগেই ভিনরাজ্যে জান ইতেকাপ। ইচ্ছে ছিল দিনরাত বাড়তি শ্রম করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোয় বৃষ্টির ভ্রুকুটি, ভাসতে পারে দু-একদিন! আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে চিন্তা
কিন্তু, মুহূর্তের অসাবধানতায় সব শেষ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এলাকায় ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেই গ্রামের অনেক যুবক বাড়ি ছাড়া। ১০০ দিনের প্রকল্প থাকলে ভিন্ন রাজ্যে কাজে যেতে হতো না। এদিন দেহ ফিরতেই যেন গোটা গ্রামের মানুষের ভিড় উপচে পড়ে এলাকায়। আত্মীয়, পরিজনের পাশাপাশি গ্রামবাসী সকলেই শোকস্তব্ধ। ইতেকাফের মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছে গ্রামবাসীদের। কারণ, গ্রামের বহু পুরুষ মানুষ এখন তাঁর মতোই ভিনরাজ্যে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার আতঙ্কে ধূপ-কয়েলের দরকার নেই, বাড়িতে এই গাছ লাগালেই বাপ বাপ করে পালাবে মশা!
যাঁদের রোজগারের জন্য প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। কখন কার পরিবারে বিপদ নেমে আসে কে বলতে পারে। তাই কফিনবন্দি মৃতদেহের সামনে ভিড় থেকেই অবিলম্বে ১০০ দিনের প্রকল্প চালুর দাবিও করেন গ্রামবাসীরা। এদিকে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান জাহিদুল শেখ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সেবক দেবশর্মা