#হেমতাবাদ: করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষ রোগীর পাশে এগিয়ে এলেন হেমতাবাদ রেড ভলেন্টিয়ার। মুমূর্ষ রোগীকে সাহায্য করতে পেরে খুশী রেড ভলেন্টিয়ারের সদস্যরা।
২০১১ সালে বামপন্থীরা রাজ্যে ক্ষমতা থেকে সরে গিয়েছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্যের মানুষ বামপন্থীদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। এবারেই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় বামপন্থীদের কোন প্রতিনিধি নেই। মানুষ বামপন্থীদের মেনে নিক বা না নিক আপদে বিপদে বামপন্থীরা যে পাশে থাকে তা প্রমাণ করে দেখাল হেমতাবাদ রেড ভলেন্টিয়াররা। শুধু হেমতাবাদেই নয়, সারা রাজ্যের এই অতিমারির সময় সিপিএমের যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের সদস্যরা রেড ভলেন্টিয়ার নামে একটি সংগঠন তৈরী করেছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ানোই তাঁদের প্রধান কাজ।
advertisement
এমনই ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেন হেমতাবাদের মানুষ। হেমতাবাদের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর ছেলে আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে তিনি ছিলেন। এ দিন সকাল থেকেই ওই ব্যবসায়ীর তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। অক্সিজেনের জন্য তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে হতাশ হন। অক্সিজেনের অভাবে ওই রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। নিরুপায় হয়ে রেড ভলেন্টিয়ারদের শরনাপন্ন হন আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার। শোনা মাত্রই অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাজির রেড ভলেন্টিয়ারের সদস্যরা। জীবনকে উপেক্ষা করে রেড ভলেন্টিয়ারের সদস্যরা তাঁকে অক্সিজেন লাগিয়ে দেন। দীর্ঘ সময় পর তিনি কিছুটা স্বস্তি বোধ করেন।
সিপিএমের যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হান্নান আলি চৌধুরী জানান, ওই ব্যবসায়ীর অসুস্থতা খবর পাওয়া মাত্র তাঁদের সদস্যরা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছেন। অক্সিজেন লাগানোর পর তিনি কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। এরপর তিনি আরও অসুস্থতা বোধ করলে তাঁকে রায়গঞ্জের করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রেড ভলেন্টিয়ারের সদস্যদের সহযোগিতা চাইলে তাঁরা সেই সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁদের সংগঠনের এই ভূমিকায় পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
