আরও পড়ুন- ভক্তের ঢল! দিনে ভিক্ষুক এই ‘বাবা’, রাত হলেই…! ৩২ বছরের ভুল, অবশেষে পুলিশের জালে!
মন্দিরের নির্মাতা ভগবান চন্দ্র বর্মন জানান, \”দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর ইচ্ছে ছিল বাড়িতে এই মন্দির তৈরি করার। তাঁদের বাড়িতে আগে থেকেই কালী মন্দির ছিল। সেই জায়গায় এই ছোট দক্ষিণেশ্বর মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকটা কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। আরোও কিছুটা কাজ বাকি আছে। সেগুলি আগামী কিছুটা সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপর পুজোর আয়োজন করে মন্দিরে দেবী মায়ের মূর্তি স্থাপন করা হবে।\” ভগবান চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী ডলি রায় বর্মন জানান, \”দীর্ঘ দুই বছরের প্রচেষ্টায় মন্দির তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্দির নিয়ে বহু মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। বহু কৌতূহলী মানুষ মন্দির সম্পর্কে জানতে প্রশ্ন করেন থাকেন তাঁকে।\”
advertisement
আরও পড়ুন- ১৫০ কেজির সাপ! দুপুর হলেই রোদে এসে প্রেম করত এই ‘অজগর জুটি’? তার পর যা হল…!
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ বর্মন জানান, \”জেলা কোচবিহার থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দূরত্ব নেহাত কম নয়। সেই কারণে মন চাইলেও সবসময় মন্দির দর্শন করা সম্ভব হয় না সবার পক্ষে। তাই জেলার মাথাভাঙা মহকুমায় দক্ষিণেশ্বরের আদলে মন্দির তৈরি করায় খুশি মাথাভাঙা শহরবাসী। প্রতিদিন এই মন্দির দেখতে ভিড় করছেন প্রচুর উৎসাহী মানুষ। পথ চলতি মানুষেরা এই মন্দির দেখলে থমকে দাঁড়িয়ে দেখেন মন্দিরের সৌন্দর্য। নিখুঁত কারুকার্যের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মন্দির।\”
বর্তমানে মাথাভাঙা মহকুমা এলাকার একটি পরিচিত স্থান হয়ে উঠেছে এই মন্দির। এই মন্দিরটি বাড়িতে নির্মাণ করা হলেও, মন্দিরের সৌন্দর্য রাস্তা থেকে দাঁড়িয়েও দেখা সম্ভব সহজেই। মাথাভাঙা-শিলিগুড়ি রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়েই সহজে দেখা যায় এই মন্দিরের চূড়া। ফলে অনেকেই এই মন্দিরের চূড়া দেখে এগিয়ে আসেন মন্দিরকে সামনে থেকে ভাল ভাবে দেখতে।
সার্থক পণ্ডিত