গত রবিবার বীভৎস এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার নারায়ণপল্লিতে। কিন্তু, সোমবার সকাল পর্যন্ত খুনের কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি পাড়ার লোক৷ কারণ, অভিযুক্ত তো দিনের আলোয় দিব্যি ঘুরে বেরিয়েছেন পাড়ার মধ্যে৷ এক সময় অবশ্য নিজেই অন্য ভাড়াটে কে চুপিচুপি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তার পর ওকে মেরে ফেলেছি৷’’
advertisement
স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত রাহুল কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী সোনালি নারায়ণপল্লিতেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন৷ তাঁদের একটি সাত বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে৷ কিন্তু, রাহুল ক্রমাগত সন্দেহ করতেন, তাঁর স্ত্রীয়ের বিবাহ বহির্ভূত কোনও সম্পর্ক আছে৷ এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত৷ রবিবার রাতেও তেমনই ঝগড়া বাঁধে দু’জনের মধ্যে৷ তাতেই এই পরিণতি৷
অভিযুক্তের মুখে স্ত্রী হত্যার কথা শুনতেই পাড়ায় হুহু করে রটে যায় ঘটনার কথা৷ পৌঁছয় পুলিশের কানেও৷ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাটিগাড়া থানার পুলিশ৷ পৌঁছন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যেরাও। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সোনালির দেহ৷
খানিক খোঁজাখুঁজির পরে গ্রেফতার করা হয় স্বামী রাহুল কুণ্ডুকে৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিক জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত।