আরও পড়ুন: কার্শিয়ঙের কালো চিতা! পাহাড়ি পাকদন্ডীর পাশে গভীর বনে দেখা দিল মোগলির ‘বাগীরা’!
এরপরেই অনুষ্ঠানে জন বারলাকে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান মমতা। এ দিনে তাঁর বক্তব্যে ফুটে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। তিনি বলেন, “আজকে সর্বধর্মের মানুষ এখানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে, সেলুলার জেলে বাংলা ও পাঞ্জাবের মানুষ বেশি করে বন্দি ছিলেন। আন্দামান সেলুলার জেলের পরে, আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সাতে প্রচুর বিপ্লবীদের রাখা হয়েছিল। আজ সেই জেলায় আমরা পালন করছি নেতাজির জন্মদিন।”
advertisement
এরপরেই তিনি বলেন, “প্ল্যানিং কমিশন নেতাজি তৈরি করেছিলেন। সেটাকে তুলে দেওয়া হল। জয় হিন্দ তাঁর স্লোগান। নেতাজি বলতেন সবাইকে নিয়ে, সব ধর্মকে নিয়ে চলতে হবে। এই দিনটি দেশকে সম্মান জানিয়ে আমরা পালন করি।”
আরও পড়ুন: রহস্যময় সাধু প্রতিষ্ঠাতা, জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন-সহ এই মন্দিরে নিত্যপুজো নেতাজির
আজ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে একের পর এক মনীষীদের কথা। তিনি বলেন,”একদিকে রবীন্দ্রনাথ, একদিকে নজরুল, একদিকে পঞ্চানন বর্মা, একদিকে নেতাজী, একদিকে স্বামীজী সবাই লড়াইয়ে যুক্ত আছেন। তাই সব মণীষীদের শ্রদ্ধা জানাই।
নেতাজির মৃত্যু নিয়ে এখনও ধোঁয়াশার অবকাশ রয়েছে। তা নিয়েও বলতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “আমাদের দুঃখ ওনার জন্মদিন আমরা জানলেও, ওনার মৃত্যুদিন আমরা জানি না। উনি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাদের দুঃখ হয়, কোথায় হারিয়ে গেলেন, আমরা খুঁজে পাইনা।”
এরপরেই মমতার কথায় উঠে আসে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা ও সৌভাতৃত্ব সবচেয়ে বড় জিনিষ। বিশ্বাস, ত্যাগ ও ঐক্য আমাদের পথ দেখায়। আমরা কী করে সেটা ভুলব। দেশের জন্য যারা জীবন দেন, তাদের ভুলব না আমরা।
আমরা যেন দেশকে, আমরা নেতাজিকে না ভুলি। আমরা আলিপুর মিউজিয়াম খুলে দিয়েছি সকলের জন্য। স্মার্ট ফোন দেওয়ার প্রকল্পের নাম দিয়েছি তরুণের স্বপ্ন। আমরা রাজ্যের হাতে থাকা ৮৪ ফাইল সাধারণ মানুষকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছি।” নেতাজির জন্মদিনে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।