সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী এবং কপ্টারে থাকা যাত্রীরা বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান৷ উপস্থিত সেনা আধিকারিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন৷ দেশের সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে কত ডিগ্রিতে রাখা উচিত AC? যাতে পকেটেও টান পড়বে কম, ভাল থাকবে মেশিনও
সেবক এয়ারবেসে সেনা আধিকারিকদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ও তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে তিনি উল্লেখ করেন, তিনিও সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। জানান, সেনা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি খুশি৷
advertisement
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার সময়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার প্রিকশানারি ল্যান্ডিং করে সেবক এয়ারবেসে৷ প্রাকৃতিক দূর্যোগের আঁচ করতে পেরেই পাইলট ও কো-পাইলট এই সিদ্ধান্ত নেন। সেবক এয়ারবেসে বেশ কিছুটা সময় কাটান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনা আধিকারিকদের সাথে গল্প করেন৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘মিসিং ফাইল’-এর খোঁজ! হঠাৎ করেই উধাও, কোথায় গেল..তৎপর সিবিআই
এয়ারবেসের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সেনা আধিকারিকদের মাঝে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমি আর্মি ম্যান হতে খুব পছন্দ করতাম। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল আমি সেনাতে যোগ দেব। কিন্তু সেই সময় সুযোগ পাইনি। আজ আমাদের হেলিকপ্টার এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং হয়েছিল। তারপর আর্মি আমার পুরো খেয়াল রেখেছে। আমি এটা কোনওভাবেই ভুলব না। আমার আক্ষেপ মিটে গেল, এবার আপনাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ অন্তত মিলল।’’
উপস্থিত সেনা কর্তাদের প্রশংসা করে মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের পরিবারকে আমার অভিনন্দন জানাবেন।সেনাকে আমার অভিনন্দন। অফিসার থেকে জওয়ান, সকলকে আমার অভিনন্দন। কারণ ওনারা ওঁদের জীবন মাতৃভূমির জন্য উৎসর্গ করেছেন। পরিবারের জন্য সময় দিতে পারেন না আপনারা। আপনাদের মাতৃভূমিই আপনাদের পরিবার। স্যালুট জানাচ্ছি আপনাদের ও আপনাদের পরিবারকে।”
পরে সেনার তরফেও এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার ১:৩৫ মিনিট নাগাদ সেবক এয়ারবেসে প্রিকশানারি ল্যান্ডিং করে৷ উনি ওয়েটিং লাউঞ্জে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করছিলেন। সেখানেই তিনি সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। প্রশাসনের তরফে তাঁর বাগডোগরা যাওয়ার ব্যবস্থা করার পরে দুপুর ২:৪৩ মিনিট নাগাদ তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন।