মমতা বললেন, "কর্মসৃষ্টি যখন হয়, আমি সব রাজ্যের জন্যই বলছি, সেই রাজ্যের ছেলে মেয়েরা যেন চাকরিটা পায়। বাংলা হলে, বাংলার রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যেন পায়। সবাইকেই বলছি, রাজবংশী হতে পারেন, যে কেউ হতে পারেন, কিন্তু বাংলাটা তাঁর ঠিকানা হতে হবে, বাংলা ভাষাটা জানতে হবে। বিহারে বিহারের বাসিন্দারা পাবেন, উত্তরপ্রদেশে উত্তরপ্রদেশের লোকেরা পাবেন। সব রাজ্যেই তার নিজের রাজ্যের ছেলেমেয়েরা যাতে কাজ পান, সেটা নজর রাখতে হবে।"
advertisement
আরও পড়ুন: 'নিজের বোনের' ভোট প্রচারে জমজমাট ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুর লড়াই!
এর পরেই তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, "আমি একটু ভেবে দেখতে বলব, অনেক সময়ে আমরা বিভিন্ন কমিশন করে দি, আমি রাজ্য সার্ভিস কমিশনের কথা বলছি, তারা চাকরিটা দেয় নম্বরের ভিত্তিতে। হয়ত কেউ ভাল রেজাল্ট করেছেন, অন্য জায়গা থেকে এসেছেন, চাকরিটা তিনি পেয়ে গেলেন। কিন্তু স্থানীয় ছেলেমেয়েরা পেলেন না। এ বার যিনি চাকরি পেলেন, তিনি হয়ত একটা উঁচুপদে কাজ করতে শুরু করলেন, সরকারি কোনও পদে। দেখা গেল তাঁর কাছে পরিষেবা নিতে যাচ্ছেন কোনও মানুষ, কিন্তু সেই আধিকারিক ভাষা (বাংলা) জানেন না। অনেক সময়ে দেখা যায়, এক জন মানুষ যখন স্থানীয় প্রশাসকের কাছে যাচ্ছেন বা বিডিওর কাছে যাচ্ছেন, তিনি বাংলায় কথা বলছেন, দেখা যাবে, সেই প্রশাসক বাংলাটা বোঝেনই না। ফলে সেই অধিকারিক না পারছেন চিঠিটা পড়তে না পারছেন উত্তর দিতে, তাই সেখানে স্থানীয় ভাষা জানা আবশ্যিক। আরও অনেক ভাষা জানুন, অসুবিধা নেই, কিন্তু স্থানীয় ভাবে যেখানে কাজ করবেন, সেখানকার ভাষাটা জানতে হবে, না হলে আমি স্থানীয় মানুষের সমস্যার সমাধান করব কী করে?"
আরও পড়ুন: 'পড়ুয়ারা অপেক্ষা করে আছে! স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কাজে ঢিলেমি নয়', বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর...
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের সুরেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্থানীয় ভাষা না জানলে জেলায় কাজ করা যাবে না। পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এটাও বলেন যে, আপাতত পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার বিপুল কর্মসূচি নিয়ে ফেলেছে। তাই আগামী দিনে সরকারের মূল লক্ষ্য থাকবে কর্মসৃষ্টি করা।
