রাজীব পদত্যাগ দেওয়ার পর থেকে বারংবার চোখের জল ফেলেছেন। তাঁর বার্তা ছিল তিনি তৃণমূলের থাকতেই চেয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্যেও ভাঁটা পড়েনি। কিন্তু দলই সেই পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরপক্ষে তৃণমূল সেই কান্নাকে নিপুণ এক চিত্রনাট্য বলেই দাগিয়ে এসেছে। মমতাও এদিন একহাত নিলেন। নাম না করেই বললেন, "বন সহায়ক নিয়ে গরমিল করেছে, আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। এখন বড় বড় কথা বলছে। চুরি করে বিজেপির পকেটে গেল। টি এম সিকে হারাতে পারবে না।"
advertisement
দলত্যাগের হিড়িকের মধ্যে মমতার বার্তা, "যাঁরা এদিক ওদিক যেতে চায় যেতে দাও, যারা ভ্রষ্টাচারী তারা যাও। আমি জানি ওরা। ভোটের পরে ওদের লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাব।"
শুভেন্দু-রাজীবদের দিল্লিযাত্রায় বরাদ্দ হয়েছিল চার্টার্ড প্লেন। মমতা সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে এদিন বললেন, তৃণমূলে যারা বদমাইশি করেছে তাদের নিয়ে যাচ্ছে জেট প্লেনে। আর পরিযায়ী শ্রমিক এল পায়ে হেঁটে।
দলত্যাগীদের বার্তা দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "যারা লোভী, ভোগী, তারা দল তাড়ানোর আগে চলে যান। এটা মানুষের দল।যারা বিজেপিতে গেছে। তাদের লেজে যেদিন আগুন লাগাবে সেদিন দেখবে। আর একটা লঙ্কা কান্ড ঘটবে।"
এদিন আগাগোড়াই কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাজেট উত্তরের সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যায় বরাদ্দ হয়েছে। সেই প্রসঙ্গও তুললেন আলিপুরদুয়ারের কর্মীসভায়। বললেন, "বাংলায় ৮৫ হাজার কিমি রাস্তা করেছি। এখন বলছে ৬৫০ কিমি রাস্তা করবে। আপনি আসুন একটু হাঁটি হাঁটি পা পা করে যান।"
উত্তরের মন ফেরাতে মরিয়া মমতার বার্তা, "উত্তরের জন্যে সব কাজ আমরা করেছি। চা বাগানের প্রায় ৩ লাখ শ্রমিক আছেন। যাদের অসুবিধা ছিল তাদের আমরা বাড়ি দিয়ে দিচ্ছি। পুরো উত্তরবঙ্গ এখন শান্ত আছে। আমি চাই শান্তি, ওরা চায় দাঙ্গা। আমি চাই উন্নয়ন, ওরা চায় বিসর্জন, আমি চাই কাজ, ওরা চায় কাজ থেকে সরাতে।"