গত কয়েকদিন ধরেই বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুরে দেখছেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। পৌঁছে যাচ্ছেন দুর্গতদের কাছে। সকালে রোদ ঝলমলে দার্জিলিংয়ের রাস্তায় পায়ে হেঁটে লালকুঠি যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ অন্যরা। আবার সেই পথেই হেঁটে ফিরে আসেন তিনি। পথে স্থানীয়দের সঙ্গে হাত নেড়ে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন দু’একজনের সঙ্গে।
advertisement
দার্জিলিংয়ে জনসংযোগে পাহাড় আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীকুমার ছেত্রীর রং তুলি নিয়েই ভরালেন ক্যানভাস। গান্ধীরোডের কাছে এক প্রবীণ নাগরিক তাঁর ক্যানভাসে ছবি আঁকার জন্য আবদার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। লালকুঠি থেকে ফেরার পথে জনৈক শ্রীকুমার ছেত্রীর আবদার মেনেই রং তুলি হাতে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের ছবি আঁকেন তিনি। মিটিং শেষে গান্ধী রোডে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক নির্দেশ দেন জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পাহাড়ের রাস্তায় যে ভাবে কেবল ঝুলছে তা ঠিক করতে হবে। দৃশ্যত এটা খারাপ। এই ব্যাপারে জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে বলেছেন, কালীপুজোর পরে মিটিং ডাকতে। সেখানেই ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এর সমাধান করতে। পাশাপাশি দুর্যোগ কাটিয়ে পাহাড়ে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। ফলে পুরসভার রাস্তার প্যাচ ওয়ার্ক যথাযথ ভাবে করতে। যাতে অসুবিধা না হয়।
প্রশাসনের প্রচেষ্টায় বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পাহাড়। তবে বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় এখনও বিভিন্ন এলাকার ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন বহু মানুষ। অনেকের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ধসের জেরে বন্ধ বেশ কয়েকটি রাস্তা। এই পরিস্থিতিতে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গত রবিবার ফের উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন মমতা। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন তিনি।