শুক্রবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য জমির পাট্টা বিতরন করবেন তিনি। এর পাশাপাশি ভাঙন প্রতিরোধে আগামী দশ বছরে ৫০০ কোটি ব্যয় করে প্রকল্পের ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রতি বছর খরচ করা হবে ৫০ কোটি টাকা৷ দ্রুত গতিতে কাজের জন্য জেলাশাসক ও মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন মঞ্চে চেয়ার রাখছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়…? ‘আসল’ রহস্য ফাঁস করলেন মমতা! যা বললেন তৃণমূলনেত্রী
বিগত তিন বছরে গঙ্গা ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়েছে সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ, চাচণ্ড, ধুসরিপাড়া, শিবনগর, মহেশটোলা সহ বিস্তীর্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এখনও মাথার উপরে ছাদ পায়নি তাঁরা। স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে অনেকেই। পানীয় জল থেকে খাওয়া দাওয়া, একাধিক অসুবিধা নিয়ে অত্যন্ত সমস্যায় এই ভাঙন দুর্গত মানুষেরা।
সামনেই বর্ষা, ভাঙনের আতঙ্কে এখনই প্রহর গোনা শুরু করেছে গঙ্গা পাড়ের বাসিন্দারা। তাঁদের একটাই দাবি, স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধের কাজ করা হোক। আর ভাঙন প্রতিরোধের কাজে মুখ্যমন্ত্রী বছরে ৫০কোটি টাকা বরাদ্দ করায় খুশি ভাঙন কবলিত এলাকার সর্বহারা মানুষ।
এলাকাবাসী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল যাতে ভাল ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হোক। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি পূরণ করায় আমরা খুব খুশি।’ ভাঙন বিধ্বস্ত বলরাম মণ্ডল বলেন, ‘গত বছর ভাঙনে আমার ঘর বাড়ি সব গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এখন এলাকার প্রাথমিক স্কুলে আছি। তবে জানতে পারলাম মুখ্যমন্ত্রী ভাঙনের কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছেন। আমরা চাই এবার ভাল ভাবে ভাঙন রোধের কাজটা করা হোক।’ ভাঙন বিধ্বস্থদের পুনর্বাসনে জমির পাট্টাও বিতরন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে ভাঙনে ভিটে মাটি সর্বস্ব হারিয়ে শুধু জমি নিয়ে কি হবে, তাই আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন এই সর্বহারা মানুষগুলো।
