তিনি আরও লেখেন, ‘‘কিন্তু যখনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে, তখন থেকেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নাগরাকাটা বামনডাঙ্গায় তড়িঘড়ি অস্থায়ী ক্যাম্প নির্মাণে। হাতের নাগালের কাছে থাকলেও এতদিন ধরে ওই অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গত পরিবারের কাছে প্রশাসন কিংবা শাসকদল পৌঁছায়নি। তাঁদের পরিস্থিতি ক্রমশ করুণ হয়েছে কিন্তু শাসকদলের কেউ পাশে দাঁড়ায়নি।”
advertisement
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, খাগেন মুর্মুর ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় বিজেপি বিক্ষোভ করছে। তিনি বলেন, ‘‘আজ আমরা মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছি। আমাদের দলের সংসদ সদস্য খাগেন মুর্মুর ওপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি নির্দেশ করে।’’
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “এটি শুধু একজন সাংসদের ওপর আক্রমণ নয়, এটি গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা শাসন করছে, আর পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে।” তিনি দুর্গাপুরে ঘটা ধর্ষণের ঘটনাকে ‘‘অত্যন্ত ন্যক্কারজনক’ বলে অভিহিত করে বলেন, এই সরকারের কারণে রাজ্যের ‘মান সম্মান সব গেল’। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । দুর্গাপুরের মতো একটি জায়গায় এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল, এটা অত্যন্ত লজ্জার। এই রাজ্য সরকারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মান সম্মান সব গেল। নারী সুরক্ষা নিয়ে সরকার বড় বড় কথা বললেও, বাস্তবে তার ছবিটা কী, তা এই ঘটনায় স্পষ্ট।”
রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই দুষ্কৃতীরা এমন সাহস পাচ্ছে। তাঁর মন্তব্যে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার বিষয়টি ফুটে ওঠে। বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, সরকার যদি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তবে এই ধরনের নৃশংসতা ঘটতেই থাকবে। তিনি এই ঘটনার দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন,”এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে মহিলাদের রাতে বাইরে যাওয়া উচিত নয়। তিনি কি চান, যে সব মহিলা এখন থেকে বোরখা পরে বাড়িতে থাকবেন ?”
Susmita Mondal