গত ২রা জানুয়ারি মালদহে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলা। সেইদিনই সহযোদ্ধা মৃত্যুতে উদ্বেগ আর আক্ষেপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মালদহে পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রীর গন্তব্য দুলাল সরকারের বাড়িতে যান মমতা। দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার ইংরেজবাজার পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি, কেন ফাঁসি হল না সঞ্জয় রাইয়ের? জানলে ঘুম উড়ে যাবে!
advertisement
মালদহে তৃণমূলের পুরনো নেতাদের মধ্যে অন্যতম বাবলা সরকার ও চৈতালি ঘোষ সরকার। মালদহে এই দুই নেতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এদিন হেলিপ্যাডে নামার পর সোজা মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছন মালদহের মহানন্দা পল্লিতে দুলাল সরকারের বাড়িতে। স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পৌনে চারটের সময় মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছন তাঁদের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা? বাংলাদেশে হচ্ছে কী! ভারতকে এত বড় হুঁশিয়ারি?
মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ‘আমি একা এসেছি। এই কেসে আমি বলতে পারি যে যত বড়ই হোক না স্ট্রং অ্য়াকশন নেওয়া হবে। কতগুলো কথা কানে এসেছে। ডিজি, এসপিকে বলেছি। বাবলার অসম্পূর্ণ কাজ চৈতালি করবে। বাবলা আমার চিরকালের পরিচিত।…ও আমাদের নিরলস কর্মী ছিল। মালদার রাজনীতি আমি একটা বুঝি না। এমএলএ এমপি পাই না। কিন্তু কর্পোরেশন ভোটে কেউ কেউ জিতে যাই। দুর্ভাগ্য এটা। এর মধ্য়ে কী রহস্য রয়েছে। রহস্যটা জানি। অনেকরকম খেলা চলে। এই খেলা চললে তো মানুষের পক্ষে খারাপ হবে। জনপ্রিয়তা প্রথম থেকে ছিল। এমপি ইলেকশনে দুটো আসনে হারলাম। কাউন্সিলর ইলেকশনে দেখলাম জিতে গেল। আমি তো চাইবই আমাদের লোক জিতুক। কিন্তু রহস্যটা কী। রহস্যটা ভেদ করতে হবে।’
সেবক দেবশর্মা