প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত মিরিক পরিদর্শন সেরে মিরিক সুখিয়াপোখরিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতির জন্য দুর্গতদের ১ লক্ষ টাকা করে দেন। একই সঙ্গে স্বজনহারা পরিবারের একজন সদস্যকে বিশেষ হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগ পত্র দেন।
আরও পড়ুনঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫- কেমন যাবে আজকের প্রেমজীবন, জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
advertisement
এর পরেই বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির কথায় কোনও ব্যবসায়ী কুৎসা ছড়াচ্ছেন। বিজেপির মদতে একদিন ঘুরে ফোটোশপে ছবি করে সবাই পালিয়ে গিয়েছে- তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সব ছেড়ে ব্যবসায়ীদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তাঁর কথায়, ব্যবসা করুন ভাল করে। কিন্তু ব্যবসার একটা দায়ও রয়ে যায়। মানুষকে হতাশ না করে সাহায্য করুন। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, ‘কেউ কেউ ধূপগুড়ি ময়নাগুড়ি নিয়ে রাজনীতি করছে। অরুপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, স্থানীয় বিধায়ক আগেই সেখানে ভিজিট করছেন। ধূপগুড়িতে কেউ ত্রাণ শিবিরে আর নেই। তাও আমি সোমবার ত্রাণ পাঠিয়েছি। আমি অরুপ বিশ্বাসের ফোন থেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। মানুষকে যারা হতাশ করছেন। তাদের বলি ব্যবসা করছেন করুন। এই সব আবার কী? কেন্দ্রের কাজ নেই। খালি রাজনীতি করছে। এক পয়সা দিয়ে সাহায্য করে না। একবার রিলিফ দিয়ে আমি পালিয়ে যাবার নই। আমার কাজ দায়বদ্ধতা। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যাওয়া। আমি আমজনতার পাশে আছি। আমি মানুষের কাজের জন্য পাশে আছি।’
প্রবল বৃষ্টি-ধস ও ভুটানের ছাড়া জলে লক্ষ্মীপুজোর আগে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তড়িঘড়ি ময়দানে নেমেছে রাজ্য। লক্ষ্মীপুজোর দিনই পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের চেষ্টায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পাহাড়। তবে অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন স্থানীয়রা। দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে ফের গত রবিবার ফের উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে মিরিকে যান তিনি। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। মিরিক থেকে সুখিয়াপোখরি যান মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি হাতে সাহায্য তুলে দেন।