পাশাপাশি কোনও বিপর্যয়তেই কেন্দ্রের অনুদান না পাওয়া নিয়েও আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত এক পয়সাও আমরা কোথা থেকে পাইনি, এ সত্ত্বেও আমরা কাজ করছি। নদী গতিপথ বদল করেছে, রাস্তা, সেতু ভেঙে গেছে। বাড়ি ভেঙে গেছে, নদীর জলে ডলোমাইট। স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভেঙে গেছে। চাষিদের ফসল বিমা দেওয়া হবে। সবাই রিপোর্ট তৈরি করে জেলাশাসককে দিন। সুফল বাংলায় আউটলেট চালু করা হয়েছে”।
advertisement
তাঁর আরও দাবি, “আমি ৫০০০ কিটস নিয়ে এসেছি। সবার দায়িত্ব আছে। কাজ করতে হয়। খালি সমালোচনা করলে হয় না। ডিজাস্টারের জন্য একটা অ্যাকাউন্ট করেছি। কেউ চাইলে সেখানে দিন। ভিক্ষা চাইনা আমরা। কেউ যদি স্বেচ্ছায় দিতে চায় দেবে”।
আরও পড়ুন: ভারতে আকাশছোঁয়া সোনার দাম, জানেন পাকিস্তানে ১০ গ্রাম সোনার দাম কত? জানলে হাসি পাবে
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একাধিক জায়গায় ভেঙে গেলেও, ক্যাম্প করে করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ২২৮ পানীয় জল প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০ হাজার মানুষকে না সরালে কি অবস্থা হত ভাবুন, ১৩০০ বেশি মানুষকে দার্জিলিং থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমি নিজে মিরিকে গিয়ে মৃতর পরিবারের সাথে দেখা করেছি। কমিউনিটি ক্যাম্পে গেছি। আমার পাড়া আমার সমাধানে যাদের নথি হারিয়েছে তারা রিলিফ ক্যাম্প থেকে যাতে নথি পান সেই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দার্জিলিং জেলার ৯ ব্লকে ৪ পুরসভার ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সাথে সাথে উদ্ধার না হলে তারা তলিয়ে যেতে পারছেন। আমাদের কর্মীদের স্যালুট দিই। পুলিশ, দমকল, পূর্ত দফতর সহ সবাইকে স্যালুট। আইসি ও বিডিওরা যেভাবে কাজ করেছে তার তুলনা নেই। ৭০০ মতো ল্যান্ডস্লাইড হয়েছে। ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”।