তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গতকাল দুপুরেই শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শিলিগুড়ির কাছে কন্যাশ্রী অতিথি নিবাসে রাতে থাকার কথা ছিল তাঁর৷ কিন্তু পড়শি দেশ নেপাল অশান্ত হয়ে ওঠায় ওই এলাকায় ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে৷ যার ফলে কন্যাশ্রীতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন মুখ্যমন্ত্রী৷ কারণ কন্যাশ্রী থেকে নেপাল সীমান্তের দূরত্ব একেবারেই কম৷ এমন কি, নেপালের পরিস্থিতি সম্পর্কেও খোঁজখবর নিতে গিয়ে সমস্যা পড়েন মুখ্যমন্ত্রী৷ ফোনে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছিল৷ এর পরেই রাতে উত্তরকন্যায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নয়, তিনি সর্বভারতীয় একজন নেত্রী৷ ইন্টারনেট কাজ না করায় কোনও ভাবেই কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তিনি৷ তাই বাধ্য হয়েই তিনি উত্তরকন্যায় নিজের ঘরে এসে কাজ করছেন৷ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী খুবই উদ্বিগ্ন৷ তাই উত্তরকন্যায় বসেই মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন৷’
মুখ্যমন্ত্রী যে সময় উত্তরকন্যায় পৌঁছন, তখন গোটা সচিবালয় কার্যত ফাঁকা হয়ে গিয়েছে৷ নিজের ঘরে গিয়ে কাজ করতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন খবর পেয়ে এর পরই একে একে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা উত্তরকন্যায় পৌঁছন৷
আজ, বুধবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর৷ উত্তরকন্যা থেকে সেই সভারও প্রস্তুতি নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে রওনা হওয়ার সময়ও দ্রুত নেপালে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী৷