এ দিন উত্তরবঙ্গের বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর সেই সমালোচনারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রবিবার বিকেলেই তিনি যদি বিধ্বস্ত এলাকায় পৌঁছতেন, তাহলে প্রশাসন তাঁকে নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ত৷ উদ্ধারকাজ যাতে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতেই তিনি পরের দিন সোমবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেন বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৫ তারিখ ভোট চারটেয় আমি সিএস ও ডিজির সাথে বৈঠক করি। রাত থেকে আমাদের প্রশাসন সাথে ছিল। উদ্ধার কাজের জন্য সময় লাগে। অনেকে রাজনীতি করছেন, বলছেন কেন কার্নিভাল হল? আরে পুজোও তো গর্ব। এত ক্লাব অপেক্ষা করে বসেছিল। বহু বিদেশি অতিথি ছিলেন৷ ইউনিসেফ ছিল৷ বাতিল করে দেওয়া সম্ভব? আর সেদিন রাতে আসলে কি হত? পুলিশ প্রশাসন কি ভিআইপি সামলাত নাকি আসল কাজ করত। এই তো ভিআইপি-র নাম করে ৩০-৪০ গাড়ি ওই রাস্তায় ঢুকছে। রাস্তা ভাঙছে। আমি নিজেও তিনটে গাড়ি ছাড়া কিছু ব্যবহার করছি না৷’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ৩৬ ঘন্টার মধ্যে চলে এসেছি। আমি সেই বিকেলে আসলে আমাকে নিয়ে প্রশাসন ব্যস্ত হয়ে যেত। যাদের এমন দূর্ভোগ হয়েছে তারা সব হারিয়ে অসহয়তায় ভোগে। সেই সময় আমাদের মাথা ঠান্ডা রেখে আশ্বস্ত করতে হয়। ওদের সমস্যা বোঝা আমাদের প্রথম কাজ।’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিপর্যয়ে যাঁদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন, সেরকম ২১টি পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছেন৷ ১৫ দিনের মধ্যে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হোমগার্ডের চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ জল নামলে এলাকায় এলাকায় গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষার কাজ শুরু করবে প্রশাসন৷