চলতি বছর অক্টোবরেই উত্তরবঙ্গের মাটি থেকে বাংলায় সবচেয়ে বড় মহাকাল মন্দির প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরীর আদলে দিঘাতে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জগন্নাথ মন্দির । ইকো পার্কের ঠিক উল্টো দিকের জমিতেই তৈরি করা হবে ‘দুর্গাঙ্গন’। এবার শিলিগুড়িতে হচ্ছে শিবমন্দির। মন্ত্রিসভায় পাশের পরেই ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ” মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। ট্রাস্টের সদস্য হিসেবে থাকছেন, গৌতম দেব, সঞ্জয় টিব্রেয়াল, দিলীপ দুগ্গার, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, সত্যম রায়চৌধুরী, অংশুমান চক্রবর্তী, রোমা রেশমি এক্কা, অনিত থাপা, ডিএম ও এসপি দার্জিলিং। পুজোর দায়িত্বে দার্জিলিংয়ের মহাকাল মন্দিরের পুরোহিত, কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের পুরোহিত, জলপাইগুড়ির জল্পেশ মন্দিরের পুরোহিত থাকছেন।”
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ” খুব শীঘ্রই ট্রাস্ট কাজ শুরু করবে। কাছাকাছি একটি কনভেনশন সেন্টারও তৈরি করা হবে।” গত মাসে দার্জিলিঙের ম্যালে বিখ্যাত মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি নতুন মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ” এই মহাকাল মন্দিরে অনেক বয়স্ক মানুষ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষমেরা আসেন। তাঁদের পক্ষে এত উপরে ওঠা সম্ভব নয়। আমি জেলা প্রশাসনকে বলেছি, জিটিএ-র তরফে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবস্থা করা হবে।” এর পরেই নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বলেছিলেন, ” আমার একটা উদ্দেশ্য আছে। দিঘায় আমরা জগন্নাথধাম করে দিয়েছি। রাজারহাটে দুর্গাঙ্গন করছি। সেখানে ট্রাস্ট তৈরি করা আছে। জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। আর্কিটেকচারও আমি দেখে নিয়েছি। দার্জিলিঙের জেলাশাসককে বলেছি, শিলিগুড়ির আশপাশে একটা ভাল জমি দেখতে। সেখানে একটা কনভেনশন সেন্টার করা হবে। তার পাশেই বড় মহাকাল মন্দির করব। সেখানে সবচেয়ে বড় শিবঠাকুর তৈরি করব।”
দিঘার জগন্নাথধামের আদলেই ট্রাস্ট গড়ে শিলিগুড়ির মহাকাল মন্দির তৈরি করবেন মমতা, যাতে তা নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়। জগন্নাথ মন্দিরের দায়িত্ব একটি ট্রাস্টের হাতে। সেটির পরিচালন ভার ইস্কনের। তাঁর কথায়, ” মন্দির তৈরির আগে আমাকে একটা ট্রাস্ট করতে হবে। তাদের দিয়ে করাতে হবে। সকলকে নিয়ে আমরা নিজেরা করব।” সেই ট্রাস্ট এবার গঠন করা হল।
