প্রথম দু'দফার ভোটে একাধিক তৃণমূলের কর্মীদের খুন করেছে বিজেপি, এমনই দাবি করে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মমতা। তাঁর কথায়, 'গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে। কোচবিহারে আমার কত ছেলেকে মেরেছে বিজেপি। খানাকুলে, কেশপুরে করছি। আমি শুধু শান্ত আছি ভোেটর জন্য। লড়াই করতে আমি জানি। নির্বাচন কমিশনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, ভোট পরিচালনা করছেন অমিত শাহ। জওয়ানদের সম্মান করি, কিন্তু বিজেপির নির্দেশে নন্দীগ্রামে তাণ্ডব করেছে তাঁরা। বিজেপির নামে ভোট দিন বলে অত্যাচার করছে তাঁরা। মা-বোনেদের বলছি, উলুধ্বনি-শঙ্খধ্বনি-আজানধ্বনি দিয়ে মা-বোনেরা প্রতিবাদ করুন। ছাড়বেন না।'
advertisement
এদিন ফের নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর কথায়, 'এগুলো সব গদ্দার। বিজেপির নিজস্ব কোনও প্রার্থী নেই। হয় সিপিএম থেকে, নয় তৃণমূল থেকে। তৃণমূলের থেকে টাকা খেয়ে এখন বিজেপিতে রাখতে গিয়েছে। এগুলো বড় বড় মীরজাফর। মনে রাখবেন, আমি মরে যাইনি, আমি চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকি না।'
মমতার আশ্বাস, 'তৃণমূল জাতপাতের রাজনীতি করে না। শীতলকুচিতে নতুন আইটিআই হচ্ছে। আমি জিতবই, অন্য প্রার্থীদের জেতান। তপশিলি আদিবাসীদের ভাতা দেওয়া হবে। দুর্বল ছেলেমেয়ে চাই না। এদের হাতে টাকা-গুন্ডা আছে, অমিত শাহ আছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে, দিল্লিতে দাঙ্গা করেছিল। ভোটের দিন ভয় পাবেন না। টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। মানুষ না খেতে পেলে দেবে না। দিনহাটার মানুষ প্রতিবাদ করুন। প্রতিটি বুথে লড়াই করো, ভোট দাও।'
মমতার ফের হুঁশিয়ারি, 'ভোট পর্যন্ত সহ্য করব, তার পর যেখানে যাবে সেখান থেকে টেনে নিয়ে আসব। আমরা করেছি, করে বলছি। বিজেপি কী করেছে? এলাকায় গন্ডগোল করতে আসে। ভোটের দিন ভয় পাবেন না আবার বলছি। এই ভোট আপনাদের অধিকার।'