মালদহ শহরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য টোটোই ভরসা৷ রাস্তায় গিজগিজ করছে টোটো৷ টোটো করে যাওয়া গেল ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে৷ কিন্তু মৌসমের দেখা নেই৷ এক প্রবীণ ব্যক্তি চা খেতে খেতে বললেন, 'একটু আগেই তো এই রাস্তা দিয়ে মিছিল গেল৷' যাই হোক এ দিক সে দিক ঘুরে 'গেছোদাদা'-কে খুঁজে পেতে আর বিশেষ অঙ্ক কষতে হল না৷ পাওয়া গেল ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে৷ আপনি মালদহের অতিপরিচিত মুখ৷ সাধারণত লোকসভা নির্বাচনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে প্রার্থীদের প্রচার করতে দেখা যায় না৷' গাঁদা ফুলের পাপড়ি চোখে-মুখে৷ মালদহ উত্তরের তৃণমূলপ্রার্থীর বক্তব্য, 'আমার প্রচারের স্ট্র্যাটেজিটা একটু আলাদা৷ আমি একদম ওয়ার্ডে ঘুরেই প্রচার করি৷'
advertisement
গনিখান পরিবারের মেয়ে৷ সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ মালদহ উত্তরে দু বারের কংগ্রেস সাংসদ৷ এ বারও জিতবেন, আশাবাদী মৌসম৷ মালদহ উত্তরের মানুষ কী বলছেন ? শঙ্কর রজক নামে এক যুবকের কথায়, 'কিছু বলা যাচ্ছে না দাদা৷ এ বারের ভোটে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেসের লড়াই৷ পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল সাফ করে দিয়েছে৷ কিন্তু লোকসভা আর পঞ্চায়েত তো এক না৷'
কোতুয়ালির বাড়ি ফাঁকা৷ মৌসম যখন ওয়ার্ডে ওয়ার্ড ঘুরছেন, মহানন্দার অন্য পাড়ে মালদহ দক্ষিণে কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)-কে বিশেষ প্রচারে দেখা যাচ্ছে না৷ মালদহের এক প্রবীণ ব্যক্তি বছর ৭৫-এর মনিরুল ইসলামের কথায়, 'ডালুবাবু এমনিই জিতবেন৷ ওঁর প্রচার লাগে না৷ এখানে কংগ্রেস জিতছেই৷' বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও মালদহ দক্ষিণে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন৷ যদিও মালদহ দক্ষিণে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন৷ কম কথা বলেন৷ ও দিকে বিজেপি-র শ্রীরূপা মিত্র৷ তবুও বরকত গনিখান চৌধুরীর 'লেগাসি' অটুট রয়েছে৷ ডালুবাবুর প্লাস পয়েন্ট৷
বরকত গনিখান চৌধুরীর জনপ্রিয়তা একই পরিবারে প্রায় সকলেই ব্যবহার করছেন৷ সে ক্ষেত্রে মালদহ উত্তরে কি মৌসমের তৃণমূলে যোগদান সময়োচিত পদক্ষেপ? প্রশ্নটা ঘুরছে মালদ শহরের অলিতে গলিতে৷
মৌসম নিজে আশাবাদি৷ তাঁর কথায়, 'এখন লড়াইটা দিদি বনাম মোদি৷ বিজেপি-কে রুখতে এই মুহূর্তে মমতাদির হাতই লড়াকু হাত৷'
ইংরেজবাজারের মানুষ কিন্তু খুব একটা স্পষ্ট কিছু বলছেন না৷
আরও ভিডিও--