এবারের পুরভোটে অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ইংরেজবাজার পুরসভায় পুরুষ কাউন্সিলরদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতেই জয় পেয়েছেন মহিলা প্রার্থীরা। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ড ছাড়াও সাধারণ আরও আটটি ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন বিভিন্ন দলের মহিলা প্রার্থীরা। এদিকে দুটি পুরসভার অনেক ওয়ার্ডেই বিরোধীদের ভোট কাটাকাটির সুবিধা পেয়েছে শাসক দল তৃণমূল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করে এককভাবে পুরভোটে লড়ে বেশকিছু ওয়ার্ডে ভালো ভোট পেয়েছে সিপিএম।
advertisement
গত বিধানসভা ভোটে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ এই দুটি বিধানসভাতে বিপুল জয় পেয়েছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, বিধানসভা ভোটে দুই পুরসভার সিংহভাগ ওয়ার্ডেই বিপুল লিড ছিল বিজেপির। কিন্তু, পুরসভা ভোটে ইংরেজবাজারে বিজেপি তিনটি এবং পুরাতন মালদহে মাত্র দুটি আসন পেয়েছে। দুই পুরসভাতেই একটি করে ওয়ার্ডে জয় পেয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।
মালদহে এবার সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে পুরভোটের জয় পেয়েছেন ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি চৌধুরী। তিনি জিতেছেন ২৫০৩ ভোটের ব্যবধানে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয় পেয়েছেন পুরাতন মালদা পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফারহিন নেহার। জিতেছেন মাত্র ৭ ভোটে।
পুরভোটে বিপুল জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ প্রধান ভূমিকা নিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। ভবিষ্যতে মালদহকে পুরসভা থেকে কর্পোরেশনে উন্নীত করার লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও বিজেপি জয়ী প্রার্থী অম্লান ভাদুড়ির পাল্টা দাবি, বিধানসভা ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় হয়েছিল। কিন্তু, পুরসভা ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট হয়েছে। তা না হলে ফল আরও ভালো হত।
Sebak DebSarma