উল্লেখ্য, কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও শুটআউটের ঘটনা মালদহে। জানা গিয়েছে, বুকে গুলি লাগে আতিমুলের। ভিনরাজ্যে শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। প্রাথমিকভাবে অনুমান ছিল, ব্যবসায়িক আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদে গুলির ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। আতিমূলের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। যদিও পরে জানা যায়, তৃণমূল নেতা খুনের সাক্ষী মেটাতে এবারে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার করা হয়েছে। অন্তত অভিযোগ উঠেছে এমনটাই।
advertisement
আরও পড়ুন : উৎসবের আগে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন! বড় বাজেটের মণ্ডপে হঠাৎ একযোগে নেমে পড়ল পুলিশ-দমকল-বিদ্যুৎ দফতর
উল্লেখ্য, ১০ জুলাই ইংরেজ বাজার থানার লক্ষীপুর এলাকায় গুলি এবং হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খু*ন করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দলেরই কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মাইনুল শেখকে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূল নেতাকে খুনের মূল সাক্ষী ছিল আতিকুল মোমিন। তাঁর সামনে আবুল কালাম আজাদকে খুন করেছিল মাইনুল শেখ। তাই সাক্ষী মেটাতে মাইনুলের ছেলে শহীদ শেখ সহ বেশ কয়েকজন আতিকুল মোমিনকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন : উৎসবের আগে পুরুলিয়ায় বড় চমক! পৌরসভার দারুণ উদ্যোগে বদলে যাচ্ছে শহরের চেহারা
জানা যায়, রবিবার রাত্রে আতিকুল মোমিন বানিয়াগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিল। ঠিক সেই সময় মোটরবাইকে ধৃত তৃণমূল নেতার ছেলে সহ দুজন এসে তাকে গুলি করে। তার পিঠের পাঁজরে গুলি লাগে। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে ছুটে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ এবং আধিকারিকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।