TRENDING:

ভাঙনে গঙ্গাপ্রাপ্তি বিদ্যালয়ের, মালদহে একটু একটু করে নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে স্কুলবাড়ি

Last Updated:

Malda School : উদ্বিগ্ন প্রশাসন, বন্ধ পঠনপাঠন, শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ : গঙ্গার গ্রাসে নারায়ণপুরচর প্রাথমিক স্কুল। তীব্র ভাঙনে ক্রমশ নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত স্কুলবাড়ি। সপ্তাহখানেক আগেই ভাঙনের আশঙ্কায় স্কুলের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, আলমারি ও অন্যান্য নথিপত্র সরিয়ে নেয় প্রশাসন। আপাতত বন্ধ পড়াশোনা। শিশুদের ভবিষ্যৎ গঠন-পাঠন ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
তীব্র ভাঙনে ক্রমশ নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত স্কুলবাড়ি
তীব্র ভাঙনে ক্রমশ নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত স্কুলবাড়ি
advertisement

ইতিমধ্যেই স্কুলের পাকাবাড়ির দুই- তৃতীয়াংশের বেশি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। কোনওরকমে টিকে রয়েছে একটিমাত্র ঘর ও বারান্দা। যে কোনও সময় বাকি স্কুলবাড়িও নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। নারায়ণপুর চর প্রাথমিক স্কুলে প্রায় দেড়শ পড়ুয়া। শিক্ষক রয়েছেন চারজন। শিশুদের পঠনপাঠন ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। চরম দুশ্চিন্তায় অভিভাবকেরা। আপাতত ছাত্রদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে অস্থায়ীভাবে স্কুল চালানোর ভাবনা প্রশাসনের।

advertisement

আগামিকাল নারায়ণপুর চর এলাকা পরিদর্শনের যাবে প্রশাসনের দল। মালদহের মানিকচকের গঙ্গা নদী সংলগ্ন প্রায় ৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত নারায়ণপুর চর। স্থানীয় দুটি গ্রামে প্রায় তিনশো পরিবারের বসবাস। এলাকায় একটিমাত্র সরকারি প্রাথমিক স্কুল। সেই স্কুল তলিয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে সংকট।

আরও পড়ুন : মহরম উপলক্ষে বাড়তি সময় জল সরবরাহ বর্ধমান পুরসভার

advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার পার ভাঙছিল। কিন্তু, সোমবার বিকেল থেকে আচমকা ভাঙন তীব্র আকার নেয়। চোখের সামনে তলিয়ে যেতে থাকে স্কুলবাড়ি। পাশাপাশি এলাকায় বেশকিছু সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িও ভাঙনের ফলে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

advertisement

আরও পড়ুন :  মালকিনের অজান্তে আলমারি থেকে ১৪ লক্ষ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে ধৃত পরিচারিকা

এদিকে, অবিলম্বে নারায়ণপুর চরে ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শেফালি চৌধুরী। অবিলম্বে স্কুল শুরু করা না গেলে শিশুরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই চর এলাকাতেই বিকল্প জমি চিহ্নিত করে স্কুলচালুর দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

মালদহ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মন বলেন, ‘‘সপ্তাহখানেক আগেই প্রথম গঙ্গানদী স্কুলবাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে বলে খবর মেলে। সেই সময়ে আমরা স্কুল থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিই।ভাঙনের আগেই স্কুল পুরোপুরি খালি করে দেওয়া হয়েছিল। তবে স্কুলের পাকাবাড়ি নদীতে তলিয়ে যাওয়া অবশ্যই বড় ক্ষতি। ওই এলাকায় বিকল্প জমি খোঁজা হচ্ছে। অন্যত্র যত দ্রুত সম্ভব স্কুল শুরু করা হবে।’’

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ভাঙনে গঙ্গাপ্রাপ্তি বিদ্যালয়ের, মালদহে একটু একটু করে নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে স্কুলবাড়ি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল