জানা গিয়েছে, কোচবিহারের প্রাণনাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পান অভিযুক্ত তপন মণ্ডল। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি নিয়োগপত্র পান তিনি। পরে জানা যায়, তার এসসি সার্টিফিকেট জাল। যদিও তার দাবি, তিনি নিয়োগপত্র পেলেও চাকরিতে যোগদান করেননি।
কিন্তু, জাল শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরির ঘটনায় কড়া অবস্থান নেয় উচ্চ আদালত। মালদহের মহকুমাশাসকও জাল শংসাপত্র তৈরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশে। গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কেন এখনও অভিযুক্ত তখন মন্ডল গ্রেফতার হয়নি? প্রশ্ন তোলেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশও দেন বিচারপতি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গতকাল রাতে মথুরাপুর ভূতনি সেতুর কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতকে মালদহ আদালতে পেশ করা হবে।
advertisement
উচ্চ আদালতের বিচারপতি আগেই পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, চাকরিতে যোগ না দিলেও জাতিগত শংসাপত্র জাল করার দায় থেকে মুক্ত হয়ে যান না তপন মণ্ডল। জালিয়াতি করেই সুপারিশ এবং নিয়োগপত্র। এরজন্যই ফৌজদারি অপরাধে যুক্ত অভিযুক্ত। তাই, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিক পুলিশ। সূত্রের খবর, গত জানুয়ারি মাসে তপন মণ্ডলের বিরুদ্ধে জাল শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ দায়ের করেন মালদহের মহকুমাশাসক। সেই অনুযায়ী, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬, ৪৬৫, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা শুরু হয়। যদিও এদিন সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নে ধৃত তপন মণ্ডল বলেন, কোন স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন তা তার মনে নেই। কবে চাকরি পরীক্ষা দিয়েছিল ? এ' নিয়েও সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে, কোচবিহারের কোনও স্কুলে নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন, কিন্তু চাকরিতে যোগদান করেননি বলে জানান অভিযুক্ত।