জানা গিয়েছে অসমের নওগাঁও জেলার কলিয়াবার থানা এলাকায় বাসিন্দা। নিখোঁজ কিশোরের খোঁজে মালদহ টাউন স্টেশনে পাঁচ দিন ধরে রয়ে গিয়েছেন দিদি নাজিমা খাতুন ও জামাইবাবু রফিকুল ইসলাম। নিখোঁজ কিশোরের নাম মনিরুদ্দিন। দিদি, জামাইবাবুর সঙ্গে কেরলে কাজে যাচ্ছিল ওই কিশোর। গত ৯ অক্টোবর অসম থেকে কন্যাকুমারী এক্সপ্রেসে ওঠেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পাকা চুল-দাড়ি দেখলেই তুলে ফেলেন? মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে এতে, জানুন
১০ অক্টোবর মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছয় ট্রেনটি। পরিবারে মোট পাঁচ জন সদস্য ছিলেন। স্টেশনে একসঙ্গে সকলেই খাওয়াদাওয়া করেন। ট্রেন ছাড়ার আগের মুহূর্তে নাজিমা খাতুন লক্ষ্য করেন তার ভাই ট্রেনে নেই। তারপর থেকে শুরু হয় খোঁজা খুঁজি ট্রেন উঠতে পারেনি ভেবে। শেষে ট্রেন থেকে মালদহে নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। মালদা জিআরপি থানায় নিঁখোজ ডায়রি করা হয়।
আরও পড়ুন: আলোর উৎসব এবার অন্ধকারেই, দীপাবলির আগে ২০১৯-এর আতঙ্কে ফিরল বউবাজার
এরপর থেকে কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে মালদহ টাউন স্টেশনই এখন ঠিকানা তাঁদের। দিদি নাজিমা খাতুন বলেন, 'আমাদের তত্ত্বাবধানে ভাই কেরলে যাচ্ছিল । ট্রেনে না দেখতে পেয়ে আমাদের ধারনা হয় ও ট্রেনে উঠতে পারেনি। এ জন্যই আমরা নেমে যাই। ভাই একা কোথাও যেতে পারবে না। কারণ ওর কাছে টাকাপয়সা নেই। ভাইকে কেউ অপহরণ করে বা ভুল বুঝিয়ে কোথাও নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে।' রেল পুলিশ জানিয়েছে, নিঁখোজ কিশোরের সম্পর্কে বিভিন্ন স্টেশনে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাঁর খোঁজে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।