সাধারণভাবে বর্ষার মরশুমে নদীর জল বাড়তে শুরু করলে আর নদীর জল কমার সময় দুইবার নদী ভাঙন তীব্র হয়। গত ২-৩ দিনে মালদহে দ্রুতগতিতে কমেছে গঙ্গা নদীর জলস্তর। এতে বন্যা বা প্লাবনের আশঙ্কা কমলেও বিপদ বাড়িয়েছে নদী ভাঙন। গত ২৪ ঘন্টায় ভয়ঙ্কর নদী ভাঙনের মুখে মালদহের রতুয়া মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতুটোলা ও মুলিরামটোলা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত দু’দিন আগেও লোকালয় থেকে গঙ্গানদী অন্তত ৭০ থেকে ৮০ মিটার দূরে ছিল। কিন্তু, ইতিমধ্যেই সেই দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ মিটারের কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে জিতুটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সরকারি এই প্রাথমিক স্কুল তৈরি হয় ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে তিনজন শিক্ষক আর প্রায় শ’খানেক ছাত্র রয়েছে। এই স্কুল যেকোনও সময় নদীগর্ভে চলে যেতে পারে এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ নথি, আসবাবপত্র সরানো হয়েছে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে জঞ্জালীটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল নদীর গ্রাসে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। উদ্বিগ্ন মালদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
advertisement
নদী ভাঙন এতটাই তীব্র যে এলাকার মানুষজন বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে সরাতে শুরু করেছেন। ফসলি জমি বাড়িঘর রাস্তা, সমস্ত কিছুই চোখের সামনে গঙ্গায় মিশে যাচ্ছে। স্থানীয়দের ক্ষোভ, নেতা মন্ত্রীরা আসেন, দেখে চলে যান। কাজের কাজ কিছুই হয় না। এলাকার বিপন্ন ও দুর্গত বাসিন্দারা বলছেন, বিকল্প জমি নেই। কাজ নেই। ফলে খাবেন কি? আপাতত প্রাণ বাঁচিয়ে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিপন্ন মানুষ।