গাজোল- বামনগোলা রাজ্য সড়কে মরা টাঙ্গন নদীর খাঁড়ির ওপর তৈরি হচ্ছে নির্মীয়মান সেতু। এই সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির মাটি সংগ্রহে জেসিবি দিয়ে চলছিল সেতুর নিচে মাটি খনন। সেই মাটি খোঁড়ার কাজ চলাকালীন জেসিবির ফলায় উঠে আসে অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ। স্বাভাবিকভাবেই শিউরে ওঠেন উপস্থিত সকলে। সঙ্গে সঙ্গে মৃত দেহটিকে ফের মাটি চাপা দিয়ে দেন কর্মরত শ্রমিকরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
advertisement
আরও পড়ুন– লক্ষ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার মালদহে ! পুলিশের জালে পাচারকারি
ঘটনাস্থলে এসে সব জেনে ফের মাটি খোঁড়ার নিদান দেন পুলিশ আধিকারিকেরা। শেষপর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতিতে ফের মাটি খুঁড়ে তোলা হয় ওই দেহ। তোলার পর দেখা যায় মৃতদেহটি মুণ্ডহীন। আশপাশে খোঁজ চালিয়ে কাটা মাথাটা উদ্ধারের চেষ্টা করে পুলিশ। মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। দেহটি উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন-ভরসন্ধ্যায় মালদহের কালিয়াচকে শুটআউট ! গুলিবিদ্ধ যুবক
দেহের পরিস্থিতি দেখে পুলিশের অনুমান, মৃত্যুর ঘটনা খুব বেশি দিনের নয়। কারণ, দেহ বেশিদিনের পুরনো হলে আরও বেশি পচন ধরার সম্ভাবনা ছিল। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাটির নীচে হাড়, কঙ্কাল উদ্ধার হয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে তা হয়নি। তা ছাড়া মুন্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। খুন করে দেহ মাটি চাপা দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আবার ঘটনাস্থলের কাছেই শ্মশান থাকায় কেউ বা কারা দেহ পুঁতে দিয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেহ শনাক্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। আশপাশের গ্রামের কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কিনা, সে সম্পর্কেও গ্রামবাসীদের কাছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।