নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে বাঁচিয়েছিলেন অনেকগুলি প্রাণ। প্রসঙ্গত, বুধবার বিসর্জন চলাকালীন মাল নদীতে হঠাৎ হড়পা বান চলে আসায় আটকে পড়ে বিসর্জনের গাড়ি। ভেসে যান প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা বহু লোকজন। নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। ঘটনায় জখম হয়েছেন প্রায় ১৪ জন। জখম প্রত্যেকেই বর্তমানে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । ঘটনার পরই দ্রুত প্রশাসনের উদ্যোগে আর্থমুভার নামিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : মাল নদীতে বারবার হড়পা বান কেন? চিন্তায় প্রশাসন
মামা-ভাগ্নের নায়কোচিত আচরণ নিয়ে আলোচনা হলেও, দু'জনেই বলছেন, বাকিদের বাঁচাতে না পারাটা চিরকাল তাদের দুঃখ থেকে যাবে। তারিফুল জানিয়েছেন, চা-বাগানের প্রতিমা নিরঞ্জন হয় ওই ঘাটে। তাই সেটা দেখতেই সেখানে যাওয়া৷ এর মধ্যেই হঠাৎ করে 'জল বাড়ছে', 'জল বাড়ছে'-এই চিৎকার তাঁদের কানে আসে। সেই চিৎকারে, তাঁরা মামা-ভাগ্নে জুটি আর স্থির থাকতে পারেননি৷ পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পরিচিতর হাতে দিয়ে দেন নিজেদের মোবাইল। আর তার পরেই সোজা নদীতে ঝাঁপ দেন দু’জনেই।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজোর হেরিটেজ স্বীকৃতি স্মরণীয় করে রাখতে অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পে ৮ পর্বতারোহী
এর পরের ঘটনা সকলের এত দিনে জানা হয়ে গেছে। একে একে একাধিক শিশু ও মহিলাদের উদ্ধার করেন তরিফুল ও ফরিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে মানিকের ভিডিও৷ বিভিন্ন ভিডিও ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে এই দুই ব্যক্তির কীর্তি। তার পর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে তাঁদের সম্মান জানানো হয়েছে। যদিও সেই সব ভুলে থাকতে চান এই মামা-ভাগ্নে। তাঁদের সাফ কথা, যদি আর একটু আগে বুঝতে পারতাম তাহলে মানুষগুলো হারিয়ে যেতেন না।