TRENDING:

Inspiration: মালনদীতে হরপা বানে তিনিই ছিলেন আর্তদের ত্রাতা, এখন কেমন আছেন ‘হিরো মহম্মদ মানিক’

Last Updated:

Inspiration: গতবছর দশমীর দিন বিসর্জনে হরপা বানে মাল নদীতে দুর্ঘটনা ঘটে মৃত্যু হয় আট জনের। মানিকের আক্ষেপ "যদি সবাইকে বাঁচাতে পারতাম খুব ভাল হত।" 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জলপাইগুড়ি : গত বছর দশমীতে বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হঠাৎ করে হরপা বানে ভেসে যাওয়া বহু মানুষকে একাই উদ্ধার করেছিলেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নজির সৃষ্টি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসে সেই কাজের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। একলক্ষ টাকা পুরস্কার ছাড়াও সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দিয়েছিলেন তাঁকে। তার পর এই মালনদী বেয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। মহম্মদ মানিক এখন এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হিরো মানিক।
মহম্মদ মানিক এখন এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হিরো মানিক
মহম্মদ মানিক এখন এলাকার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হিরো মানিক
advertisement

ঘটনাচক্রে এবার সেই মালনদীর ঘাটেই সে কর্তব্যরত। সেদিনের সেই ঘাটের এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ঘাটের। আলো লাগানো হয়েছে। আর প্রতি মূহুর্তে নজরদারির জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এ বারও দশমীর দিন ৬০টি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। তবে অনেক সতর্কতার সঙ্গে। ঘাট থেকে অনেকটা দূরেই প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। যারা প্রতিমা বিসর্জনে আসবেন তাঁরাই শুধু ঘাটে প্রবেশ করতে পারবেন এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এর জন্য মানিক খুশি। ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।

advertisement

তবে এখানেই থেমে থাকতে চান না তিনি। ভবিষ্যতে যোগ দিতে চান বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। আরও বেশি মানুষের সেবা করার জন্য। মানিক বলেন, ‘‘ সেদিনের কথাটা মনে পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। আমি সেদিন এসেছিলাম বিসর্জন দেখতে। হঠাৎই দেখি হরপা বানে খড়কুটোর মতো বহু লোক ভেসে যাচ্ছে। কোনও কথা চিন্তা না করে জলে ঝাঁপ দিই। সাঁতার জানতাম, ফলে একটা আত্মবিশ্বাস ছিলো। মনে মনে ভেবেছিলাম বাঁচাতেই হবে মানুষগুলোকে। এক এক করে বেশ কয়েকজনকে পাড়ে তুলেছিলাম। যখন তুললাম তখন তাঁরা কার্যত বেহুঁশ। পরে আরও কয়েকজন উদ্ধারকাজে জলে ঝাঁপ দেয়৷ তাঁরাও কয়েকজনকে পাড়ে তোলে। কয়েক মিনিটের একটা হরপা বান সব শেষ করে দিল। যদি আরও আগে তাঁরাও জলে নামত তাহলে আরও প্রাণ বাঁচানো যেত। তবে এবারে অনেক ভালো পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ঘাটের সংস্কার করার ফলে তা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা নজরদারি চালাচ্ছেন প্রতি মূহুর্তে। এমনকী ঘাটের কাছে অপ্রয়োজনীয় কাউকে ঘেষতে দেওয়া হয়নি। এরফলে অনেকটাই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে মানুষের আরো সচেতনতার দরকার আছে। হরপা বান আগে থেকে বোঝা যায় না। শান্ত নদীতে হঠাৎ করেই বান চলে আসে। মুহূর্তের মধ্যেই সবকিছু নিয়ে চলে যায়। তাই অনেকটাই সতর্ক থাকা উচিত। এবং কোনও ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার কাজে নেমে পড়া উচিত। কারণ এখানে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার মানুষকেও সজাগ থাকতে হবে। মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করার মনোভাব থাকতে হবে। আমাকে রাজ্য সরকার সুযোগ দিয়েছে। এই কাজ করতে পেরে আমি খুশি। তবে আরো অনেক মানুষের সেবা করতে চাই। যদি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়। আমি সেই কাজটা আরও ভাল ভাবে করতে পারবো।”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

গতবছর দশমীর দিন বিসর্জনে হরপা বানে মাল নদীতে দুর্ঘটনা ঘটে মৃত্যু হয় আট জনের। মানিকের আক্ষেপ “যদি সবাইকে বাঁচাতে পারতাম খুব ভাল হত।”

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Inspiration: মালনদীতে হরপা বানে তিনিই ছিলেন আর্তদের ত্রাতা, এখন কেমন আছেন ‘হিরো মহম্মদ মানিক’
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল