সেই মানিকের কথা এখন মুখে মুখে ঘুরছে ৷ মানিক হয়ে গেছে রিয়াল হিরো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানা রকম চর্চা। যদিও সেই সব থেকে অনেক দূরে মানিক। এদিন মালবাজারের ভাসান ঘাটে দাঁড়িয়ে মহম্মদ মানিক শোনাচ্ছিলেন, ‘‘প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে মালবাজারে এসেছিলাম। সেই সময় আচমকাই হড়পা বান আসে। অনেকে ভেসে যাচ্ছেন দেখে নিজের মোবাইল ফোনটা এক বন্ধুর হাতে দিয়ে নদীতে লাফিয়ে নামি।’’
advertisement
এর পর প্রায় ১০ জনকে উদ্ধার করেন মানিক। উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর পায়ের আঙুলও কেটে যায়। এরপরই দমকল কর্মীরা তাকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন মানিক ভাইরাল।
ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তাদের প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন দিতে আসেন এই মাল নদীতে। আর সেই বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-৮ হাজার মানুষ বুধবার এসেছিলেন বিসর্জন ঘাটে। হঠাৎই হড়পা বান আসে সে নদীতে। এরপরই জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় মানুষগুলোকে। এখনও অবধি বহু মানুষের খোঁজ নেই। অনেকে আবার গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুকে চোখের এতটা সামনে থেকে চাক্ষুষ করে কেউ কেউ আবার ভীত, কুঁকড়ে গিয়েছেন ভয়ে।- এদিন অনেকেই মানিকের এই কীর্তির কথা শোনাচ্ছেন। যদিও মানিক বলছেন, বিপদে মানুষকে রক্ষা করতে না পারলে আমি মানুষ নই।