মালদহের কালিয়াচকের একাধিক গ্রাম আর্সেনিক প্রবণ। আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্প থাকলেও সব গ্রামে পৌঁছয়নি পাইপলাইন। ফলে এখনও অনেক গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়ে আর্সেনিক যুক্ত জল খেতে হয়। বছরের পর বছর বিষ মেশা জল খেয়ে শরীরে থাবা আর্সেনিকের। এলাকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আর্সেনিক যুক্ত জল দিয়েই তৈরি হচ্ছে মিড ডে মিল। ফলে বিপদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গ্রামবাসীরা বারবারই সমস্যার কথা প্রশাসনের নজরে এনেছেন। এরপরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ।
advertisement
সম্প্রতি দিদির দুত কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গ্রামে যাবেন জেনে আগাম বিক্ষোভ কর্মসূচি নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্দেশ্য ছিল, মন্ত্রীর নজরে এলে সমস্যা মিটতে পারে। কিন্তু, গোলমাল হতে পারে এমন আশঙ্কা করে আর ওই গ্রামেই যাননি রাজ্যের মন্ত্রী। ফলে কিভাবে সমস্যা মিটবে বা আদৌ সমস্যাা মিটবে কী না তা নিয়ে এখন সন্ধিহান গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: রুচল না তিহাড়ের রুটি, ওষুধ নিয়েও সমস্যা! প্রথম রাতেই বেকায়দায় কেষ্ট
কিন্তু কেন পরিশ্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন না কালিয়াচকের একাধিক গ্রামের মানুষ ? জানা গিয়েছে, মালদহের কালিয়াচক-১ ব্লকের সিলামপুর- ২ পঞ্চায়েতের সর্দারটোলা, বিশারদ, রুস্তম আলীটোলা প্রভৃতি এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু, খাবার জন্য পরিশ্রুত পানীয় জল পর্যন্ত পাচ্ছেন না এসব গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এইসব গ্রামে প্রায় নয় হাজার মানুষের বসবাস। এলাকায় দুটি প্রাথমিক স্কুল, চারটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউবওয়েল থেকে তোলা আর্সেনিক যুক্ত জল দিয়েই তৈরি করতে হচ্ছে মিড ডে মিল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আর্সেনিক মুক্ত পানীয়়় জল আনতে হলে দরিয়াপুর কিম্বা সিলামপুরে যেতে হয়। যা এলাকা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। ফলে পরিস্রুত পানীয়়় জল মেলেনা।
আরও পড়ুন:'পালিয়ে যাও, ইডি আসছে!' অয়নের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো রহস্যময়ী কে? শুরু খোঁজ
জেলার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানাগিয়েছে, মালদহ জেলায় আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহের জন্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেই সব প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০২৪ সালের মধ্যে সমস্ত বাড়িতেই আর্সেনিক মুক্ত পরিস্রুত পানীয়় জল পৌঁছবে।
