ছোটো থেকেই মেধাবী রিঙ্কিনির বাবার বছর চারেক আগে মৃত্যু হয়। ওর মা একজন আইনজীবী। মেয়ের সাফল্যে খুশী ওর মা। সেভাবে সারা দিন বই নিয়ে বসতো না রিঙ্কিনি। টেস্টের পর দিনে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতো। স্কুলের শিক্ষিকা, গৃহ শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলত। টেস্টের পর স্কুল বন্ধ থাকলেও ও মাঝে মধ্যে গিয়ে ক্লাস করে আসত। সেইসঙ্গে কয়েকজন বান্ধবী মিলে অন লাইনে গ্রুপ স্টাডিও করত। তারই ফলই মাধ্যমিকের মার্কশিট। কলকাতা বা বাইরে নয়, নিজের স্কুল শিলিগুড়ি গার্লসেই এলিভেন এবং টুয়েলভে পড়াশোনা করবে। ওর ইচ্ছে গবেষণা করার। ফিজিক্স বা অঙ্কে গবেষণা করার ইচ্ছে। আপাতত সায়েন্সে উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো ফল করতে চায় রিঙ্কিনি। এটাই প্রথম টার্গেট। পড়াশোনার পাশাপাশি গান শোনাই ওর হবি। রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুরাগী। ওর প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দোপাধ্যায়।
advertisement
গান না শিখলেও নিয়মিত বাড়িতেই একা একা চর্চা করে আসছে। অভিভাবক থেকে স্কুলের শিক্ষিকা, প্রাইভেট টিউটর এবং বন্ধু, বান্ধবদের সহযোগিতাতেই এই সাফল্য এসছে বলে জানায় রিঙ্কিনি। মেয়ের সাফল্যে খুশী মা প্রথম মিষ্টিমুখ করান। তারপর একে একে আসেন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর থেকে পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা। চলে সংবর্ধনার পালা। ওর বাড়িতে ছুটে যান প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানও। ওর এই সাফল্যে খুশির আবহ শহরে।