#মালদহ: রাত থেকেই আধার সংশোধনের লাইনে মানুষ। সিএএ, এনআরসি-আতঙ্কে আধার সংশোধনের হিড়িক। মালদহের একাধিক ব্যাঙ্কে এখন ধরা পড়ছে এমনই ছবি। এদিকে রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে আধার সংশোধনের সুযোগ পাচ্ছেন হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ। এ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ।
এদিকে, পরিকাঠামোর অভাবেই আধার কার্ড সংশোধন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও।
advertisement
হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডাই হোক আর অকাল বৃষ্টি। প্রতিকুল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে মালদহে রাত থেকে আধার সংশোধনের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন মানুষ। সৌজন্যে সিএএ, এনআরসি-আতঙ্ক। গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া লাইন বেলায় ব্যাঙ্ক খোলা পর্যন্ত ক্রমশই বাড়ছে।
সম্প্রতি, মালদহে আধার সংশোধন করতে গিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকায় ব্যাঙ্ক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভের ঘটনা হয়েছে আরও বেশ কিছু ডাকঘরে। এই অবস্থায় অধিকাংশ জায়গাতেই আধার সংশোধনের কাজ বন্ধ। যে গুটিকতক জায়গায় আধার সংশোধন হচ্ছে সেখানে ছুটে আসছেন দূর দূরান্তের লোকজন। যাঁদের প্রায় সকলেই ভুগছেন সিএএ, এনআরসি-আতঙ্কে। অনেকেই বলছেন, সরকারি গাফিলতিতে আধারে ভুল হয়েছে। অথচ, এখন তাঁদের পড়তে হচ্ছে চরম হয়রানিতে। মনে হচ্ছে এ যেন দেশে থাকার জন্য লড়াই।
মালদহের অধিকাংশ ব্যাঙ্কে নোটিশ দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে আধার সংশোধন। কিছু, রাষ্ট্রায়ত ব্যাঙ্কে নির্দিষ্ট দিন জানিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১৭ জনের আধার সংশোধন করা সম্ভব। যে সব ব্যাঙ্ক আধার সংশোধন কেন্দ্র চালু রেখেছে তাঁরাও জানিয়েছেন পরিকাঠামো
গত সমস্যায় একদিনে বেশী আধার সংশোধন করা সম্ভব নয়। ইণ্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের সিনিয়র ম্যানেজার অরুন কুমার গুপ্তা জানিয়েছেন, এরপরেও আধারের জন্য ব্যঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ভিড় করায় আর্থিক লেনদেন সহ নিরাপত্তার বিষয়েও চিন্তা বাড়ছে।