২০২১ বিধানসভায় জেলার ১২ বিধানসভা আসনের মধ্যে আটটিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। অথচ, ২০২৪ এর নির্বাচনে জেলার কোনও লোকসভা আসন জিততে না পারার কাঁটা থেকেই গেল শাসকদলের অন্দরে। তৃণমূলের আরও উদ্বেগের কারণ, জেলার সমস্ত বিধানসভায় এবারের লোকসভার ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। এরমধ্যে রয়েছে নিজেদের জেতা আটটি বিধানসভাও। শুধু তাই নয়, মালদহে তৃণমূলের দখলে থাকা মানিকচক, মোথাবাড়ি এবং বৈষ্ণবনগর বিধানসভায় তৃণমূল চলে গিয়েছে একেবারে তৃতীয় স্থানে।
advertisement
আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুতে চোখে জল নয়, বরং ব্যান্ড-ডিজে বাজিয়ে মহানন্দে শেষযাত্রা পরিবারের
নিজেদের দখলে থাকা সুজাপুর বিধানসভায় কংগ্রেসের চেয়ে ৮৩ হাজার ৬২৯ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের জেতা মানিকচক বিধানসভায় বিজেপির থেকে ৪৮ হাজার ৭১০ ভোটে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে তৃণমূল। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা কেন্দ্র মোথাবাড়িতে তৃণমূল পিছিয়ে ৪৫ হাজার ৬৮৮ ভোটে। বৈষ্ণবনগর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী বিজেপির চেয়ে ৪০ হাজার ৯৮৭ ভোটে পিছিয়ে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র রতুয়ায় কংগ্রেসের চেয়ে তৃণমূল পিছিয়ে ৩৩ হাজার ৮৫৯ ভোটে। দলকে লিড এনে দিতে ব্যর্থ তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীও। তাঁর মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পিছিয়ে ১৫ হাজার ৯২১ ভোটে। এমনকি নিজের বুথেও জিততে পারেননি তৃণমূল জেলা সভাপতি। জেলার আরেক মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা হরিশ্চন্দ্রপুরে চার হাজার ৩৪৩ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল।
জেলার ১২ টি বিধানসভার মধ্যে ছয়টিতে এগিয়ে কংগ্রেস। ছয়টিতে বিজেপি। ইংরেজবাজার বিধানসভায় বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে ৯৮ হাজার ৪০৪ ভোটে লিড পেয়েছে। মালদহ বিধানসভায় তৃণমূল পিছিয়ে ৬৩ হাজার ৪২৯ ভোটে। অন্যদিকে গাজোল বিধানসভায় ৩৮ হাজার ৮৭১ এবং হবিবপুর বিধানসভায় ৩৬ হাজার ৯৫২ ভোটে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে শাসক দল তৃণমূল। দলের ভরাডুবি হতেই জেলা তৃণমূলে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতর। কাঠগড়ায় জেলা নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি এবং জেলা চেয়ারম্যানকে নিশানা করে মুখ খুলছেন তৃণমূলের জেলার একাধিক নেতা। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ভোটের ফল এতটা খারাপ কেন তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। পর্যালোচনার আগে এবিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।