গল্প, কবিতা, সাহিত্য নিয়ে আড্ডা চলত-ই। বিভিন্ন শহর থেকে আসা কবি, সাহিত্যিকদের পছন্দের ঠেক ছিল শিলিগুড়ির লেকটাউনে হলুদ-সাদা বাড়িটা। রাস্তা থেকে কানাগলি ধরে কিছুটা এগোলেই লিটল ম্যাগাজিনের কবি রিমি দে'র বাড়ি। বাড়িতেই লাইব্রেরি। সেখানেই চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলত আড্ডা।
মনের খিদে মিটছিলনা। অন্যকিছু চাইছিলেন রিমি। যেমন ভাবা। তেমন কাজ। তিনতলার ছোট্ট ঘরটা পেল নতুন পরিচয়। তৈরি হল আড্ডাগলি। সব বয়সীদের জন্য খোলা দরজা। শর্ত একটাই। আড্ডা হতে হবে ইন্টেলেকচুয়াল।
advertisement
গল্প,কবিতাপাঠ, সিনেমা দেখা। সবটাই চলে। তবে একটু অন্য আঙ্গিকে। আড্ডার বিষয় বেশ ভারী। কখনও সেলুলয়েডে কবিতা বলা রুশ পরিচালক আন্দ্রে তারকোভস্কির ছবি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক। কখনও সৃষ্টিশীল মানুষের হতাশা নিয়ে তৈরি স্থানীয় পরিচালকের শর্ট ফিল্ম ' আ ডিসকোর্স অন ডিপ্রেসন' নিয়ে কাটাছেঁড়া। যাতে শোনা যায় শিলিগুড়ির প্রয়াত কবি সমর চক্রবর্তীর কণ্ঠস্বর। আসলে মনখারাপের কারণ খোঁজে আড্ডাগলি ।
সাহিত্যজগতে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশ্রাম নেই ঘড়ির কাঁটার। ক্লান্তি নেই ক্যালেন্ডারেরও। এগিয়ে চলে সময়। বদলে যায় আড্ডার বিষয়। আরও সাবালক হয়ে ওঠে শহরের আড্ডারা।