সূত্রের খবর, বছর ১২-১৩ আগে ওই জমিতে বিশেষভাবে সক্ষমদের স্কুল ছিল। তারপর দু'বার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বদল হয়েছে। এরই ফাঁকে সেই জমি দখল করে বাউন্ডারি তৈরি করা হয়। লাগানো হয় গাছ। সরকারি জমি দিনের আলোতেই এক কথায় 'গায়েব' হয়ে গিয়েছিল। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্যোগী হন। গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। স্থানীয় ফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে দু'বার স্মারকলিপি জমা করা হয়। তারপরই নড়েচড়ে বসেন প্রধান। পুরনো নথি খুঁজে বের করে জানতে পারেন ওটা আসলে গ্রাম পঞ্চায়েতেরই জমি। মাঝে নোটিস জারি করা হয়। অভিযোগ, তাতে কর্ণপাত করেনি জমি দখলকারীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়ে বিস্ফোরক উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, কী পোস্ট করেছিলেন তিনি ফেসবুকে
সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশকে নিয়ে এলাকায় যান দিলীপ রায়। দখলমুক্ত করেন সরকারি জমি। সেখানে সরকারি বোর্ড লাগিয়ে দেন। তিনি এদিন জানান, "যাঁরা দাবি করেছিলেন জমিটি তাঁদের, তাঁরা বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। ওটা রেকর্ডেড সরকারি জমি। এরপরেও রাতের অন্ধকারে কেউ জমি দখল করতে এলে নাম ধরে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।" স্থানীয় বাসিন্দা রত্না রায় জানান, "দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি দখল হয়েছিল। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে জানানো হয়েছিল। অবশেষে স্বস্তি এল এলাকায়।"
আরও পড়ুন: টেটে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য, উপেন বিশ্বাসের তোলা অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই!
গত মে মাস থেকেই প্রশাসন তৎপর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয় ধরপাকড়। সরকারি জমি, নদীর চর দখলকারীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালায় শিলিগুড়ি পুলিশ। শতাধিক জমি মাফিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেও ফুলবাড়ি, ডাবগ্রাম এলাকায় জমি মাফিয়ারা সক্রিয় বলে অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, মূল মাফিয়ারা তৃণমূলের বড় বড় নেতাদের ঘনিষ্ঠ। তাঁদেরকে গ্রেফতার না করে চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ।