মিথ্যা কথা বলে আর্থ মুভার মেশিন দিয়ে মানুষের যাতায়াতের রাস্তা কাটার অভিযোগ। বেশ কিছুদিন আগে খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল, ধূপগুড়ি স্টেশন মোড় সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশে সরকারি জলা জমি ভরাট করছে এক জমি মাফিয়া। সেই জমির ওপর দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একটি আট ফুটের রাস্তা ছিল। খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর সেই সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করা হয়। পাশাপাশি জলা জমিতে ফেলা বালি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- ভয়াবহ আকার নিচ্ছে গঙ্গা- পদ্মার ভাঙন, মোদিকে চিঠি লিখলেন মমতা
এর পরও সেই জমি মাফিয়া সেটা না করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। সেখানকার যাতায়াতের রাস্তা কেটে দেন। সাধারণ মানুষকে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে জলা জমি থেকে মাটি তোলার পাশাপাশি রাস্তা কাটা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে রাস্তা কাটার সময় আচমকাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা এসে গোটা ঘটনা খুলে বলেন এলাকাবাসীদের।
জানা যায়, জলাজমির ফেলা বালি তোলার নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া অন্য কোনো নির্দেশ নেই। সাধারণ মানুষকে এই কথা জানানোর পরেই দুলাল ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই ওই জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে কার্যত কোণঠাসা সেই জমি মাফিয়া। ধূপগুড়ি শহরের ওপর এভাবে বেআইনি কাজ করায় ক্ষিপ্ত সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা।
লোক চলাচলের রাস্তা কেটে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করে, সমস্তটাই সরকারি নির্দেশে হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষ সেই জমি মাফিয়া সাথে একই ইস্যুতে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন বা বিক্ষোভ দেখান। সাধারণ মানুষ সেই জমি মাফিয়ার চক্রান্ত বুঝে ফেলেন এবং তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন অধিকারী বলেন, যে ব্যক্তি সরকারি জায়গা দখল করে ডোবা ভরাট করেছিল, তিনি আমাদের যাতায়াতের রাস্তা জেসিবি মেশিন দিয়ে কেটে ফেলে। তিনি আমাদেরকে বলেন, তার কাছে অর্ডার রয়েছে সেই রাস্তা কেটে ফেলার। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এসে আমাদের জানান তারা রাস্তা কাটার কথা বলেননি। সেই জমির দখলদার জোর করে আমাদের যাতায়াতের রাস্তা কেটেছে।
আরও পড়ুন- বিয়ে করে বেপাত্তা বর! অসহায় তরুণী খুঁজে বেড়াচ্ছেন কলকাতা থেকে ডুয়ার্স
পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক জানান, আমরা নির্দেশ দিয়েছিলাম যে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল এবং বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাট করা হয়েছি, সেখান থেকেবালি তুলে ফেলতে হবে এবং আগের চেহারায় ফিরিয়ে দিতে হবে সরকারি জায়গাকে। কিন্তু রাস্তা কাটার নির্দেশ আমরা দিইনি।