২০১৭ সালের নভেম্বরে ডুয়ার্সে শুটিং করতে গিয়ে পুলিশের দুর্ব্যবহারে মাঝপথেই ফিরতে হয়েছিল বাংলা টেলি সিরিয়ালের কলাকুশলীদের। অনুমতি না নেওয়ায় মেটেলির রিসর্টে ঢুকে শুটিং বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পরে খবরের জেরে শুটিং টিমকে ফেরানোর উদ্যোগ নেন পর্যটন মন্ত্রী। এবার মাঝরাতে রিসর্টে ঢুকে পর্যটকদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল ক্রান্তি থানার মদ্যপ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে।
advertisement
পর্যটকদের অভিযোগ,
---বুধবার লাটাগুড়ির রিসর্টে আসেন যোধপুর পার্কের বারোজন পর্যটক
---বৃহস্পতিবার ভোরে রিসর্টে আসেন ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই গোপাল চন্দ্র রায়
---তাঁর সঙ্গে দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন
---পর্যটকদের ঘরে লাথি ও ধাক্কা মারতে থাকেন তিনি
---নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন
---কটুক্তি করেন মহিলাদেরও
---রিসর্ট কর্মীরা নিষেধ করলেও শোনেননি
অভিযুক্ত পুলিশকর্মী মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ পর্যটকদের। এরপরই ক্ষুব্ধ পর্যটকরা গোপাল রায়কে রিসর্টের মধ্যে তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন। পরে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পান তিনি। ক্রান্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পর্যটকরা।
এই খবর সম্প্রচারের পরই তৎপর হয় প্রশাসন। সাসপেন্ড করা হয় অভিযুক্ত গোপাল রায়কে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত। ঘটনা নিয়ে বৈঠকে বসে লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এমনিতেই পাহাড়ের লাগাতার বনধের জেরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও মার খাচ্ছে পর্যটন ব্যবসা। তার উপর এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় হোটেল ব্যবসায়ীরা।