কেমন এই কেশর চা? চা এর রং কিছুটা হলদে। দেখে মনে হতে পারে গ্রিন টি। তবে মুখে দিলেই মনে মজে যাচ্ছে কেশরের সুগন্ধে। ব্যবসায়ী চন্দন দাস জানান, কাশ্মীরের প্রসিদ্ধ কেশর দিয়েই এই চা বানাচ্ছেন তাঁরা। রাসমেলাতে গরম চায়ের হরেক দোকান থাকলেও এমন কেশর চা মিলছে শুধু তাঁর দোকানেই। কেশর চাএর দাম ৫০ টাকা। মূলত ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা বেশি আগ্রহ দেখিয়েছেন এই সুগার ফ্রি কেশর চা খেতে৷
advertisement
কোচবিহারের এক বাসিন্দা কমল বর্মণ জানান, অনেকেই আছেন যাঁরা মিষ্টি ছাড়া চা খেতে পছন্দ করেন। তাঁদের জন্য এটাই সেরা ঠিকানা। তবে জানা গিয়েছে কেউ যদি এই চায়ের জন্য একটু মিষ্টি চান তবে চিনি দেওয়া হচ্ছে৷ তবে আগবাড়িয়ে কেউ ইচ্ছা প্রকাশ করলে তবেই।
জানা গেছে মুলত কাশ্মীরের কেশর বিখ্যাত। সম্প্রতি কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেশর চাষ করতে পরীক্ষামূলকভাবে সফল হয়েছে। দার্জিলিংয়ে লেবংয়ের জমিতে ও পুন্ডিবাড়িতে বন্ধ বাতানুকূল ঘরে কেশর চাষ করে রাজ্যে প্রথম সফল হয়েছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বাণিজ্যিকভাবে কেশর চাষ সফল হলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন উত্তরবঙ্গের কৃষকেরা। এই কেশর খাবারে অত্যন্ত দামি মশলা। খাবারের রং ও সুগন্ধের জন্য এই কেশর প্রসিদ্ধ৷ সেই কেশরের চাও বেশ মন মাতিয়েছে রাসমেলায় আগতদের। মেলার স্টলে অর্ডার দিলেই মিনিট দুয়েকের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে কেশর চা। হালকা শীতের আমেজে এই কেশর চায়ের চাহিদা বেশ।