জানা গিয়েছে, ফিরহাদ এদিন মৃতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেবেন। গতকাল ঘটনার পর দুর্ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছোতেই শোরগোল পড়ে যায় ৷ প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়৷ মঙ্গলবার বিকেলে নিহত ও আহতদের বাড়ি গিয়েছিলেন কালিয়াচক এক নম্বরের বিডিও সেলিম হাবিব সরদার ৷ তিনি জানিয়েছেন, “নিহত ও আহতদের সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে সরকারি সহায়তা পায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ দুটি ফিরিয়ে আনা হবে ৷ সমস্ত রিপোর্ট জেলাশাসককে পাঠানো হয়েছে ৷" মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ওই গ্রামে রয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সামিজুদ্দিন আহমেদ ৷ দলীয় স্তরেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি৷
advertisement
গতকাল সন্ধ্যায় দুই মৃত শ্রমিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর৷ তাঁর কথায়, 'উত্তরপ্রদেশে বাড়ি ভেঙে মালদার দুই শ্রমিক মারা গিয়েছেন৷ কয়েকজন আহত হয়েছেন৷ বেনারসে তাঁদের চিকিৎসা চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবারই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিহত ও আহতদের বাড়িতে আসছেন ৷ নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ সরকারি সহায়তা করা হবে। যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।'
জানা গিয়েছে, কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির সংস্কারের কাজে যোগ দিতে কয়েকদিন আগে মালদা থেকে প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক বারাণসীতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ২৫০ জন শ্রমিক ছিলেন কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের আলিপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরশাহী এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শ্রমিকই বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন বিভিন্ন বাড়িতে থাকতেন। সোমবার রাত প্রায় দুটো পর্যন্ত মন্দিরের কাজ চলেছিল। তারপর বাড়ি ফিরে সকলে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎই মন্দির সংলগ্ন একটি প্রাচীন বাড়ি ভেঙে পড়ে৷ আর তার নীচেই চাপা পড়েন আট জন শ্রমিক৷ ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷ তাঁদের নাম এবাদুল মোমিন (৩০) ও আমিনুল মোমিন (৪০)৷ দুজনেরই বাড়ি শেরশাহী এলাকার মহেশপুর ও রাণুচক গোঁসাইপাড়া গ্রামে৷ আজ সেখানেই যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম।