মুমুর্ষু রোগীকে এই বাইকে চাপিয়েই ছোটেন তিনি। পদ্মশ্রী 'অ্যাম্বুল্যান্স দাদা', করিমুল হকের কাহিনি এখন সবার জানা। তাঁর আবিস্কার কি এবার কাজে লাগাবে সেনাবাহিনী?
প্রত্যন্ত এবং দুর্গম এলাকায় এই বাইক-অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই মতো, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও'র টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর, দিবাকর শর্মা, বুধবার দিল্লি থেকে চলে আসেন জলপাইগুড়ি। নিজের চোখে দেখেন, দু'চাকায় ভর করে প্রতিদিন কীভাবে অসাধ্য সাধন করেন ষাট ছুই ছুই করিমুল।
advertisement
১৯৯৫ সালে মাকে হারান করিমুল হক। অ্যাম্বুল্যান্স বা গাড়ি না পাওয়ায় অসুস্থ মাকে সে দিন হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি। বাড়িতেই মারা যান। সেদিনই করিমুল শপথ নিয়েছিলেন। আর যাতে অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে, বিনা চিকিৎসায় কারও মৃত্যু না হয়, সেই জেদ চেপে গিয়েছিল। সেই মতো করিমুল শুরু করে দেন বাইকে চাপিয়ে মুমুর্ষু রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ।
যার জন্য গতবছর তিনি পদ্মশ্রী সম্মানও পান। জলপাইগুড়ির এই 'অ্যাম্বুল্যান্স দাদা'কে নিয়ে বলিউডে ফিল্ম তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার নজর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। করিমুল জানিয়েছেন, তিনি কীভাবে এই বাইক-অ্যাম্বুল্যান্স নিযে কাজ করেন, তা দেখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে রিপোর্ট দেবেন জলপাইগুড়িতে আসা ডিআরডিও আধিকারিক।