প্রসঙ্গত, আক্রান্ত দু’জনেই জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর ও বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। কিউলেক্স মশা বাহিত এই রোগ দমনে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক জুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।জানা গিয়েছে, গত ৭ তারিখ আক্রান্ত হন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা উষা রায়। পরে তার মৃত্যু হয়। এনকেফেলাইটিসেই মৃত্যু কিনা জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য রিপোর্ট এলেই কারণ স্পষ্ট হবে। অন্যদিকে, গত ১১ তারিখ জ্বরে আক্রান্ত হন বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা রূপলাল হাজরা।তার শরীরেও এনকেফেলাইটিস ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কী সর্বনাশ! আচমকা কুয়োয় পড়ে গেলেন মহিলা… তড়িঘড়ি ছুটে এল মহিলা, তারপরেই…
পর পর এই দুটো ঘটনা সামনে আসায় জলপাইগুড়ি সদর ব্লক জুড়ে চরম সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। আক্রান্ত ও মৃতের বাড়ির পাঁচ কিলোমিটার এলাকা হটস্পট ঘোষণা করে সার্চ অপারেশন শুরু হয়েছে। আরও কেউ জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন কিনা, তাঁদের শরীরে এনকেফেলাইটিসের উপসর্গ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাধারণত শুকর থেকে যেহেতু এই রোগ ছড়ায় তাই এলাকায় তল্লাশি চালাবে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরকেও যুক্ত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে,চিকিৎসাধীন রূপলাল হাজরার বাড়ির আশপাশে শুকরের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও মৃত উষা রায়ের বাড়ির আশে পাশে শুকরের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাই কিউলেক্স মশা বাহিত এই রোগের উৎস খুঁজতে মেডিক্যাল টিমে পতঙ্গ বিশেষজ্ঞকেও রাখা হয়েছে।