জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার বহু বছর আগে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের জন ফাউলার এন্ড কোম্পানির তৈরি এই রোলারটিকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়িতে। অবিকল রেলের ইঞ্জিনের মতো দেখতে। বেলচা দিয়ে কয়লা তুলে জ্বালানি হিসেবে দেওয়া হত তাকে। এবড়োখেবড়ো রাস্তায় হুইসেল বাজিয়ে এগিয়ে যেতো সে। সমান হয়ে যেতো রাস্তা। সেই থেকে তার নাম স্টিম সাহেব।
advertisement
স্বাধীনতার পর দেশ ছেড়ে চলে যান ইংরেজ সাহেবরা। ফেলে রেখে যায় তাদের স্টিম সাহেবকে। ৬৮ সালে জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীর ভয়াবহ বন্যায় পলির তলায় চাপা পড়ে যায় তিস্তা পাড়ে জুবলী পার্কের পাশে পূর্ত দফতরের অফিসে রাখা স্টিম সাহেব। পলি সরিয়ে সাহেবকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন পূর্ত দফতরের কর্মীরা। প্রতি বছর বিশ্ব কর্মা পুজোর দিন ফুল, মালা, চন্দনে সাজিয়ে পুজো দেওয়া হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে তাকে জানতে ও চিনতে পারেন তার জন্য সারা বছর আদর যত্নে সাজিয়ে রাখা হয় স্টিম সাহেবকে।