বাদুড়বাগানে চরে বেড়ায় শূয়োরের দলও। না, এটা কোনও বনজঙ্গল নয়... এটা জলপাইগুড়ির আদরপাড়ার। ১৯৫৩ সালে বাড়ি বানানোর পর থেকে প্রতিবেশী হিসেবে ইউক্যালিপটাস গাছ আর বাদুড়দের পেয়েছিলেন মুকুল দাস। এ বাড়ি ও বাড়ির উপর দিয়ে বাদুড়দের আনাগোনাও অবাধ। আদরপাড়ায় আদরে আদরে তৈরি হয়েছে আরও বাদুড়।
এবার অবশ্য বাদুড় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে আদরপাড়া। বাদুড় আর শূয়োর নিপা ভাইরাসের দুই বাহককে নিয়ে বাড়ছে চিন্তা। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন, প্রশাসন হস্তক্ষেপ করুক।
advertisement
জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়িতে অনেকেই ভিনরাজ্যের কাজের জন্য যান। এরমধ্যেই দক্ষিণ ভারতে নিপা রোগের প্রকোপ বাড়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। শূয়োর ধরতে অভিযান চালানোর আশ্বাস মিললেও বাদুড় নিয়ে কী পদক্ষেপ? তার সদুত্তর নেই পুরসভার কাছে। মানুষ আর বন্যপ্রাণের সহাবস্থানেই অভ্যস্ত আদরপাড়া। তবে নিপার আতঙ্ক বোধহয় সেই সহাবস্থানেই কোপ বসাতে চলেছে।