আরও পড়ুন– দেশের এই গ্রামে ভারতীয়দের চেয়ে বিদেশিদের সংখ্যা বেশি ! থাকেন মাসের পর মাস ঘর ভাড়া নিয়ে
রঞ্জনা রায়, বাসিন্দা, ময়নাগুড়ির। তিনি বলেন, ‘‘এখান থেকে রান্না পাচ্ছি। খাচ্ছি। শাড়ি তো কিছুই না। টাকা পয়সা সোনাদানা সব চলে গেছে। আমাদের মাথা গোঁজার সবটা চলে গেছে। ভাসিয়ে নিয়ে গেছে জলঢাকা। গ্রামীণ সড়ক যোজনার রাস্তা- মাটি ধসে বেরিয়ে গেছে। যেটুকু আছে, তা যে কবে ধসে পড়ে যাবে সেই আশঙ্কা বেতগাড়ার মানুষের। ত্রিপলের অস্থায়ী ঘরে বসে ছিলেন দীননাথ রায়। ৮৫ বছরের এই বৃদ্ধ কোনওভাবে ছোট নাতনির হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন। পরিবারের বাকিরা আসতে পারলেও, ফেলে এসেছেন চেনা ঘর, চেনা উঠোন আর…….জলঢাকার এই চেহারা কোনওদিন দেখেনি। নদী যে এমন হতে পারে তা জানতাম না। আমার সব চলে গেছে। দীননাথ বাবু যখন এই কথাগুলো বলছেন, তখন তার পাশে খালি গায়ে ঘুমোচ্ছে তার সাড়ে তিন বছরের নাতনি। একটা মাত্র জামা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে সে। জানে না তাঁরা কবে ফিরবে বাড়ি।’’
advertisement
আরও পড়ুন– নতুন AFC গেট হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশনে, স্মার্ট কার্ড রিচার্জে অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ
অন্যদিকে পানিঘাটার ইকোপার্ক! বছর খানেক আগে বালাসনের ধারে তৈরি হয়েছিল ইকোপার্ক। বালাসনের জলে তছনছ দার্জিলিঙের পানিঘাটার সেই ইকোপার্ক। খাবারের দোকান, পিকনিক স্পট, পার্ক, সেলফি জোন – সব শেষ। বন্ধু তামাং, সভাপতি, জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি, পানিঘাটার। তিনি বলেন, ৫ তারিখের ঘটনায় একাধিক গাছ ভেসে চলে গিয়েছে। ৩ হেক্টর জমি চলে গিয়েছে। সব চলে গিয়েছে। দেবেশ পাণ্ডে, ডিএফও, কার্শিয়ং বলেন, ‘‘আমরা আবার তৈরি করব সব। ফের শুরু করব সবটা।’’