পরিবারের দাবি, গত ২৪ অগাস্টের ঘটনার পর থেকে অসুস্থই ছিলেন অধ্যক্ষ। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বুকে এবং মাথায় ব্যথা বেড়ে যায়। এদিকে কলেজের অধ্যাপক মানিক আইচ সরকার দাবি করেন, অধ্যক্ষকে কোনও প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। গত কয়েক মাস থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জলপাইগুড়ির আনন্দ চন্দ্র কলেজ অফ কমার্স কলেজে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের একাংশের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে তাঁকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: ডার্বি জ্বরে কাঁপছে শহর, সেলেবরা কে কার দলে? উন্মাদনার কাউন্টডাউন শুরু
গত ২৪ তারিখ কলেজের রুটিন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। ছাত্রছাত্রীদের একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকারের ঘরে কলেজের কিছু অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও অশিক্ষক কর্মীরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি, অধ্যক্ষের ঘরের সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নেওয়া হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে৷ অধ্যক্ষের টেবিল চাপড়াতেও দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। ওই ঘটনার পরে অধ্যক্ষ দাবি করেন, তাঁকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। এর পর থেকেই আর কলেজে যাননি অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার।
আরও পড়ুন: ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ঠেসে দেওয়া হবে ট্যুইন টাওয়ারে, বহুতল গুঁড়িয়ে যাবে ১৫ সেকেন্ডে! অপেক্ষা শুরু
এদিন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে অধ্যক্ষের স্ত্রী এষা সরকার বলেন, ওই ঘটনার পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পরেছিলেন সিদ্ধার্থ বাবু। তাঁর বুকে এবং মাথায় ব্যথা ছিল। যে কারণে তিনি কলেজেও যাচ্ছিলেন না। শনিবার রাত থেকে ওই ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য গত ২৪ তারিখের কলেজের ঘটনাকেই দায়ী করেছেন তিনি। এদিকে অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, আমাকে সুস্থ থাকতে দিচ্ছে না। আমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে অধ্যক্ষের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয় নিয়ে কলেজের অধ্যাপক মানিক আইচ সরকার জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ কী কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সেটা তিনি বলতে পারবেন না। তবে ওই দিন অধ্যক্ষকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে কেউ হেনস্থা করেননি। উল্টে অধ্যক্ষের অসুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মানিক আইচ সরকার।
শান্তনু কর