জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের আপার কলাবাড়ি চা-বাগানে চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যু হল ৩ বছরের আয়ুব কালান্দ্বির। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ির উঠোন থেকে চিতাবাঘ শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের । কিছু ক্ষণের মধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতর ও পুলিশ। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । ধূপগুড়ি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেইলসন লেপচা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
advertisement
বন দফতর জানিয়েছে, গত দু’মাসে কলাবাড়ি এলাকা থেকে ৩ টি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে, এখনও এলাকায় খাঁচা পাতা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বনাঞ্চল সংলগ্ন ঘন বসতিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই, বারবার ঘটছে বন্যপ্রাণীর হামলা। ২০১৯ ও ২০২৪ সালে একইভাবে শিশুদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল চিতাবাঘ। ফের এমন ঘটনায় শোক ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা এলাকা।
চলতি বছরের মার্চ মাসে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গঙ্গারাম চা-বাগানের অচানক বস্তি থেকেও এক শিশুকে তুলে নিয়ে যায় চিতাবাঘ। দেড় বছরের শিশুকে ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে কাজে গিয়েছিলেন বাবা। মা-ও ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তার মধ্যে কখন ঘর থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল শিশুটি, মা খেয়ালই করেননি। পরে বাবা ফিরে দেখেন, ছেলে ঘরে নেই। এর পরেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সেই সময়েই বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি ঝোপঝাড়ে কান্নার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়েরা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরিবার এবং স্থানীয়দের দাবি, শিশুটিকে চিতাবাঘই মুখে করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। যে জায়গা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি চিতাবাঘের আস্তানা বলেই দাবি স্থানীয়দের। যদিও বন দফতর সে কথা মানেনি। তারা জানিয়েছে, শিশুটিক শরীরে সে ভাবে কোনও ক্ষতচিহ্নও মেলেনি।
রকি চৌধূরী,বানারহাট