প্রতিমা বিসর্জন দিতে যেখানে মানুষ জমা হয়েছিলেন, সেখানেই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে জলরাশি৷ যার ফলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেসে যান অনেকে৷ ভেসে যান অন্তত কুড়ি থেকে পঁচিশ জন৷ এই ঘটনায় বুধবার সকাল পর্যন্ত আট জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ এখনও নিখোঁজ অনেকে৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের অবশ্য দাবি, দুর্ঘটনার প্রায় পনেরো মিনিট আগে থেকেই অল্প অল্প করে বাড়ছিল নদীর জলস্তর এবং স্রোত৷ তখনও কেন নদী খাতে যাঁরা ভিড় করেছিলেন তাঁদের সতর্ক করা হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮, এখনও নিখোঁজ অনেকে! বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধারকাজ
অন্যদিকে বোল্ডার ফেলে নদীর গতিপথ বদলে দেওয়ার চেষ্টাতেই হিতে বিপরীত হল কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ কারণ যে জায়গায় বোল্ডার ফেলে নদীর জল আটকে রাখা হয়েছিল, সেটিই নদীর আসল গতিপথ৷ ফলে হড়পা বানও আসে ওই পথেই৷ নদী খাতে যাঁরা নিশ্চিন্ত মনে নেমে গিয়েছিলেন, তাঁরা আর পাড়ে উঠে আসার সময় পাননি৷
আরও অভিযোগ উঠছে, মালবাজারের ওই জায়গায় প্রতি বছরই বহু প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়৷ ভিড়ও হয় প্রচুর৷ এ বছর প্রায় ৩৫টি প্রতিমা নিরঞ্জনের কথা ছিল৷ কিন্তু এত মানুষের জমায়েত হলেও সেখানে হাজির ছিলেন সিভিল ডিফেন্সের মাত্র আট জন কর্মী৷ তাঁদের কাছে উদ্ধারকাজের জন্য দড়ি ছাড়া প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও ছিল না বলে অভিযোগ৷ এমন কি, ছিল না নৌকাও৷
মালের মতো পাহাড়ি নদীতে হড়পা বান নতুন কিছু নয়৷ মাত্র সপ্তাহ দু' য়েক আগেই এই মাল নদীতে হড়পা বানে একটি লরি ভেসে গিয়েছিল৷ তার পরেও কেন প্রশাসন সতর্ক হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে৷
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক দাবি করেছেন, বুধবার মালবাজার অথবা জলপাইগুড়িতে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি৷ কিন্তু ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির জেরেই সম্ভবত নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে হড়পা বান নেমে আসে৷