জলের তোড়ে ভেঙে যায় হলংয়ের উপরে থাকা কাঠের সেতুটি। সাত দিনের মধ্যে বিকল্প কাঠের সেতু নির্মাণ করা হল। সেই অস্থায়ী সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু হয়েছে। গত রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ভেঙে পড়ে সেতুটি। তাতেই বিপত্তি। জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজে যেতে হলে এই কাঠের সেতু পেরিয়ে যেতে হয়। পাহাড় ও ডুয়ার্সে রাতভর ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায়। ফুলেফেঁপে উঠেছিল হলং। আর তার জেরেই ডুয়ার্সে ভেঙে পড়েছিল নদীর উপরে থাকা কাঠের সেতু। আর তার ফলে জলদাপাড়ার কিছু এলাকা বাকি ডুয়ার্সের বাকি অংশের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজে যাওয়ার একমাত্র পথ হল এই সেতু। এটি ভেঙে পড়ায় অতিথিবাসে আটকে পড়েছিলেন বেশ কয়েক জন পর্যটক।
advertisement
উত্তরবঙ্গের নানা পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় থেকেই পর্যটকদের ঢল নামে। জলদাপাড়া থাকে তালিকায় প্রথমে। বন দপ্তরের হিসেবে জলদাপাড়ায় প্রতি বছর কেবল অক্টোবর মাসেই দেশ-বিদেশ থেকে গড়ে সাত থেকে নয় হাজার পর্যটক আসেন। তবে এ বছর দুর্গাপুজো শুরু হয় সেপ্টেম্বরের শেষে। সেই সময়ে বর্ষা বাংলা থেকে বিদায় নেয়নি। ফলে বর্ষা শেষের বৃষ্টি এবং নিম্নচাপ, উভয়ের জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। আপাতত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। ফের আসতে শুরু করবেন পর্যটকরা। অপেক্ষায় জলদাপাড়া।