#চোপড়া: দূর্গা পুজোর নবমীর আট দিন পর জহরা দুর্গা পূজায় মেতে উঠেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের নন্দকিশোরগছ এলাকার বাসিন্দারা। পুজো একদিন হলেও দু’দিনব্যাপী মেলা হওয়ার প্রতিমা বিসর্জন হয়। কিন্তু এ বারে প্রশাসনিকভাবে মেলার অনুমতি না মেলায় পূজা অনেকটা ম্লান হয়ে গিয়েছে। দু-চারটে দোকানপাট বসলেও লোকসমাগম একেবারেই কম।
advertisement
কথিত আছে, এই নন্দকিশোরগছ এলাকার জহুরা পাল স্বপ্নাদেশে দূর্গাপুজোর নবমীর আটদিন পর এই দুর্গা পুজোর প্রচলন করেন।উদ্যোক্তাদের দাবি, এ বারে এই পুজো ১৩৩ বছরে পদার্পণ করল।একদিনেই পুজো সমাপ্তি হলেও দুই দিন মেলা বসে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে দোকানিরা এখানে দোকান নিয়ে আসেন। করোনা আবহের কারণে এ বারে প্রশাসনিকভাবে মেলা করার অনুমতি মেলেনি।দোকানিরা যাতে অযথা এসে হয়রান না হন, তার জন্য আগে থেকে প্রচার করা হয়েছিল। স্থানীয় কিছু দোকানদার সেখানে দোকান বসিয়েছেন। এই জহুরা মেলায় বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে বহু সাধু-সন্তরা আসেন প্রতি বছর। কিন্তু এ বারে করোনা আবহের কারনে তাঁরাও আসেননি।
নন্দকিশোরগছে এই পুজো হলেও মাঝিয়ালি, দাসপাড়া, বধিগছ থেকে অসংখ্য মানুষ এই পুজো দেখতে আসতেন। একসময় এই এলাকায় রাস্তাঘাট ছিল খুবই খারাপ। গরুর গাড়ি চেপে দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে আসতেন। দিন বদলেছে। মাটির রাস্তার পরিবর্তে তৈরী হয়েছে ঝাঁ চকচকে পিচের রাস্তা। এই রাস্তা তৈরী হওয়ার পর পুজো য় দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েকগুন বেড়েছে। এই পুজোয় সম্প্রতি মেলবন্ধন তৈরী হত। চোপড়া ব্লকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশী হওয়ায় তাঁরাও এই মেলায় আসতেন। কিন্তু এ বারের চিত্রটা একটু অন্যরকম। করোনা আবহের কারনে এ বারের পুজো অনেকটাই ম্লান। প্রতিমা দেখতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতিও কম। সামান্য কিছু দোকান পসরা সাজিয়ে বসলেও বেচাকেনা নেই বললেই চলে।
পুজা কমিটির সম্পাদক অজয় পাল জানালেন, করোনা আবহের কারনে এ বারে লোকসমাগম কম। প্রশাসনিকভাবে তাঁদের মেলা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই বহিরাগত কোনও দোকানিকে এখানে আসতে দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা জাইদূর রহমান জানান, বংশ পরম্পরায় এই পূজা হয়ে আসছে। এই পূজা সম্প্রতি মেল বন্ধন গড়ে তোলে। সব সম্প্রদায়ের মানুষ এই পূজায় অংশ নেন। এ বারে করোনা আবহের কারনে মেলা বসার অনুমতি মেলেনি। করোনা মুক্ত দেশ গড়ার জন্য এলাকার মানুষ বাড়িতে বসে জহুরা কাছে প্রর্থনা করেছেন।